ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী ২৮ জুলাই তুরস্ক সফরে যাবেন। সফরকালে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া আগামী ২৫ জুলাই ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাসেরও তুরস্ক সফরের কথা রয়েছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুরস্ক সফরে যাবেন নেতানিয়াহু। তার এ সফরকে বেশ ভালোভাবেই দেখছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো। এরদোয়ান ও নেতানিয়াহুর আসন্ন বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও প্রচার করছে তারা।
গত কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলের বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে বিক্ষোভের মুখোমুখি রয়েছেন নেতানিয়াহু। চলমান এই বিক্ষোভের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতন নিয়েও আন্তর্জাতিক অসন্তোষের মধ্যে রয়েছেন নেতাহিয়াহু। দেশে ও বিদেশে এমন চাপের মধ্যে নড়বড়ে অবস্থানে তার সরকার। এমন পরিস্থিতিতে এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠককে ‘কূটনৈতিক সফলতা’ দেখিয়ে এ যাত্রায় পার পেতে চাইছেন নেতাহিয়াহু, এমন খবরও দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এরদোয়ান-নেতানিয়াহুর বৈঠকের তাৎপর্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইসরায়েল। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুরস্ক সফর করবেন নেতানিয়াহু। এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক তিনি তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্ক এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হারেৎজ নামে আরেকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য দুদেশই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে চরম বিশৃঙ্খলা, নড়বড়ে নেতানিয়াহু
তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘ সময় উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এ বিষয়ের কথা উল্লেখ করে সেরগস নিউজ এরদোয়ান-নেতানিয়াহুর বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে।
গত বছর তুরস্ক সফর করেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ। এরপরই উত্তেজনা কমিয়ে সম্পর্ক জোড়া লাগাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে দুদেশ। এমনকি সম্পর্ক স্বাভাবিকের অংশ হিসেবে ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় তুরস্ক ও ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন