সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দ্বিতীয় মেয়াদে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কে এই মার্ক কার্নি

মার্ক কার্নি। ছবি : সংগৃহীত
মার্ক কার্নি। ছবি : সংগৃহীত

টানা চতুর্থবারের মতো কানাডার সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে ক্ষমতাসীন দলটির প্রধান নেতা মার্ক কার্নি আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের।

৬০ বছর বয়সী মার্ক কার্নি গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়ে লিবারেল পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাধারণ নির্বাচনে তার দলের জয়ের মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে কানাডার সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন।

ট্রুডো জানুয়ারিতে প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর জনপ্রিয়তা হারিয়ে পদত্যাগ করেন। কার্নি প্রথম ব্যক্তি যিনি আইনপ্রণেতা না হয়ে বা মন্ত্রিসভার কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই কানাডার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

সাধারণ সময়ে, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অসম্ভব ছিল। কিন্তু কানাডার টালমাতাল পরিস্থিতিতে ট্রুডোর থেকে কার্নির দূরত্ব এবং উচ্চ-প্রোফাইল ব্যাংকিং ক্যারিয়ার তার পক্ষে সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়।

কার্নির জন্ম ১৯৬৫ সালে কানাডার উত্তর-পশ্চিম টেরিটরিজের ফোর্ট স্মিথে এবং তিনি আলবার্টায় বেড়ে ওঠেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যাংক অব কানাডা (২০০৮-২০১৩) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর (২০১৩-২০২০) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা তাকে আর্থিক সংকট মোকাবিলায় দক্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত করেছে।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও কার্নির অর্থনৈতিক দক্ষতা এবং সংকট মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তাকে এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে কানাডার নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি কী কার্যকর পদক্ষেপের নেবেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে পুরো বিশ্ব।

এর আগে মার্চের মাঝামাঝিতে দলের সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি। সে হিসেবে ট্রুডোর বাকি সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান কার্নি।

কার্নি হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ডের স্নাতক। তিনি ১৯৮৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট উভয় ডিগ্রি অর্জন করেন।

কার্নি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইস হকি দলে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন। রিডার্স ডাইজেস্ট কানাডায় প্রকাশিত ২০১১ সালে কার্নির একটি প্রোফাইলের তথ্য বলছে, তিনি ইংরেজি সাহিত্য এবং গণিত অধ্যয়ন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কানাডিয়ান-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ জন কেনেথ গ্যালব্রেথের বক্তৃতা শুনে অর্থনীতিতে তার গভীর আগ্রহ তৈরি হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

‘অর্থ নয়, আত্মতৃপ্তিই চিকিৎসার আসল প্রাপ্তি’

প্রোটিয়াদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ভারত

নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

দুটি দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র করছে : জুয়েল

দাঙ্গা-ফ্যাসাদে না জড়াতে কর্মীদের কঠোর নির্দেশনা সেলিমুজ্জামানের 

ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ডাকসুর প্রতিবাদ

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

রাজধানীতে বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৪

১০

সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম সংবাদ সম্মেলন

১১

‘৯০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব’

১২

নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

১৩

উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে লঘুচাপ, ৪ দিনের পূর্বাভাসে নতুন তথ্য

১৪

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার

১৫

আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা কারাগারে

১৬

সালিশ বৈঠকের স্থান নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

১৭

সড়কের ১২ কিমি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১৮

বড়শিতে ধরা পড়ল ১৬ কেজির বিশাল পাঙাস

১৯

সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু সোমবার

২০
X