টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ ডুবোযানটির সন্ধান এখনো মেলেনি। এর সন্ধানে রাত-দিন অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল। এরই মধ্যে জানা গেল, সমুদ্রের তলদেশ থেকে আওয়াজ শনাক্ত করেছে অভিযানে অংশ নেওয়া একটি বিমান।
মার্কিন কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন কোস্টগার্ড জানায়, ঘণ্টাখানেক আগে কানাডার একটি অনুসন্ধানী বিমান সমুদ্রের তলদেশ থেকে আওয়াজ শনাক্ত করেছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং রোলিং স্টোন জানিয়েছে, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক অভ্যন্তরীণ তথ্যে বলা হয়, সাবমেরিনের ভেতর থেকে কেউ আঘাত করছে বলে মঙ্গলবার শনাক্ত করেছে কানাডার একটি বিমান। এ শব্দ এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শোনা গেছে।
গত রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর ডুবোযানটি সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।
টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছে ১৯১২ সালে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। পর্যটকরা এখনো বহুল আলোচিত সেই জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান।
জানা যায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য ছোট ডুবোযানে পর্যটক ও গবেষকদের নিয়ে যাওয়া হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে এবং আবার ভেসে উঠতে প্রায় আট ঘণ্টা লাগে।
প্রথম যাত্রাতেই ভাসমান হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন নিহত হন। ১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়।
মন্তব্য করুন