আরব সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ বর্তমানে দিক পরিবর্তন করে পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে, তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
শনিবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি রেকর্ড করা হয়। এর ফলে মুম্বাইসহ ভারতের মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পরিবর্তনের কারণে সেখানকার মানুষের মধ্যে আপাত স্বস্তি ফিরলেও কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে পৌঁছে আবার পূর্ব দিকে বাঁক নিতে শুরু করে। আইএমডি জানিয়েছে, ঝড়টি দুর্বল হলেও, তার প্রভাবে তীব্র ঢেউ ও আকস্মিক বৃষ্টিপাত হতে পারে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।
অন্যদিকে, ওমানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি তাদের আল-সারকিয়া উপকূলের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, তবে আজ রাত থেকেই এটি দুর্বল হতে শুরু করবে। তারা বলছে, রাতের শেষ ভাগ ও সোমবার সকালে ঝড়টি পূর্ব দিকে সরে গিয়ে আবার আরব সাগরের মাঝামাঝি অঞ্চলে ফিরে যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র ওমান উপকূল থেকে আনুমানিক ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। যদিও এটি স্থলভাগে বড় কোনো আঘাত হানবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবুও সামুদ্রিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা ও স্থানীয়দের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘শক্তি’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়টি এখন ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে, তবে এর অবশিষ্ট প্রভাব ভারী বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বাতাসের ঝাপটায় রূপ নিতে পারে। তাই ভারত ও ওমান উভয় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন