সুইডেনের স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুখ খুলেছেন দেশটির সরকার। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় রোববার (২ জুলাই) নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সুইডিশ সরকার। খবর আল জাজিরার।
পবিত্র কোরআনের অবমাননা এড়াতে মুসলিম দেশগুলোর জোট অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) থেকে সম্মিলিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানের পর সুইডিশ সরকারের পক্ষ থেকে এ নিন্দা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সুইডেনে বিক্ষোভের নামে কয়েকজনের সংঘটিত ইসলামোফোবিক কর্মকাণ্ড মুসলমানদের জন্য আক্রমণাত্মক হতে পারে। এবিষয়ে সুইডেন সরকার সম্পূর্ণ অবহিত।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এসব কাজ কোনোভাবেই সুইডেন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায় না।’
গত বুধবার সুইডেনের স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে এক ইরাকি যুবক ও তার সহযোগী ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের এই ন্যক্কারজনক কাজ করার অনুমতি দেয় একটি সুইডিশ আদালত।
এ ঘটনার জেরে ওআইসি বৈঠকে বসে এবং ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের অবমাননা এড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। বৈঠকের পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ‘কোরআনের অবমাননা করার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ওআইসি তার সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার’ আহ্বান জানিয়েছে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কোরআন বা অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো খুবই আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ এবং স্পষ্ট উসকানি। বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া এবং এই ধরনের অসহিষ্ণুতার কোনো স্থান সুইডেন বা ইউরোপে নেই।
এদিকে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোসহ বহু দেশ সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন