কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যেভাবে নির্মিত হলো মসজিদে নববী

মসজিদে নববীর বর্তমান অবস্থা এবং জাদুঘরে সংরক্ষিত আদি রেপ্লিকা। ছবি : সংগৃহীত
মসজিদে নববীর বর্তমান অবস্থা এবং জাদুঘরে সংরক্ষিত আদি রেপ্লিকা। ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ রাসুল (সা.)-এর পবিত্র রওজা সংযুক্ত থাকায় মসজিদে নববীর প্রতি মুসলমানদের শ্রদ্ধা ও আবেগ অত্যন্ত বেশি। এই মসজিদের পাশেই ছিল মুহাম্মাদ (সা.)-এর ঘর।

তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মসজিদটির নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মসজিদে নববীকে ঘিরেই ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার দ্বার উন্মোচিত হয়েছিলো।

৬২২ সালে মক্কা থেকে ৮ দিনের দীর্ঘ যাত্রার পর মদীনার উপকণ্ঠে কুবা নামক স্থানে এসে অবতরণ করলেন হজরত মোহাম্মদ (সা.)। কয়েক দিন পরেই শুরু হয় মসজিদ নির্মাণকাজ। ৬২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় সাত মাস সময় লাগে কাজ শেষ হতে।

মদিনায় প্রবেশের পর রাসুল (সা.)-এর উট যে জায়গাটিতে বসে পড়েছিল, সেখানেই তৈরি করা হয় ঐতিহাসিক মসজিদে নববি। মদিনার দুই এতিম বালক সাহল ও সোহাইলের কাছ থেকে ১০ দিনারের বিনিময়ে জায়গাটি কিনে নেওয়া হয়। টাকা পরিশোধ করেন হজরত আবু বকর (রা.)। জমির ছোট এক অংশে রাসুল (সা.)-এর ঘর এবং বাকি অংশজুড়ে তৈরি করা হয় মসজিদ।

হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, মদিনায় পৌঁছার পর বনি আমর ইবনে আওফ গোত্রের এলাকার উঁচুভূমিতে চৌদ্দ রাত অবস্থান করেন রাসুল (সা.)। এ সময় বনি নাজ্জারের লোকজন তাকে ঘিরে ছিল। সবার মনে একটাই আকুতি, নবীজি (সা.) যেন তাদের মেহমান হন। আল্লাহর কুদরতি ফায়সালাকারী উট আবু আইয়ুব আনসারির বাড়িতে এল। সেখানেই নবীজি (সা.) অবস্থান করলেন।

আনাস (রা.) বলেছেন, যেখানে নবীজির (সা.) উট থেমেছিল, তার সীমানায় ছিল একটি বাগান। বাগানটিতে ছিল খেজুরগাছ, কিছু কবর আর ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ।

বাগান মালিকদের অনুমতি পেয়ে নবীজি (সা.) নির্দেশ দিলেন, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলো, কবরগুলো খুঁড়ে ফেলো এবং ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দাও। জায়গাটি পরিষ্কার করে শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ।

হিজরতের পর মদিনায় বিদ্যুৎগতিতে ইসলামের প্রসার ঘটতে লাগল। মসজিদে নববীতে জায়গা দ্রুতই সংকীর্ণ হয়ে আসতে লাগল মুসল্লিদের ভিড়ে।

অতঃপর ৭ম হিজরীতে খাইবার যুদ্ধের পর রাসূল (সা.) মসজিদটিকে প্রস্থে ৪০ হাত এবং দৈর্ঘ্যে ৩০ হাত সম্প্রসারণ করলেন। এতে মসজিদটি ২ হাজার ৫০০ বর্গ মিটারের একটি বর্গাকার গৃহে পরিণত হল।

এরপর ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে মসজিদে নববীকে সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

এর গম্বুজে যে নীল আস্তরণ, ১৮১৭ সালে কিছু সংস্কারের পর সেটা লাগিয়েছিলেন তুর্কী সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ। এখন পর্যন্ত সেই রং জ্বল জ্বল করছে।

১৯৩২ সালে সৌদি শাসনামল শুরু হওয়ার পর মসজিদে নববীর অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানের জনগণ কি আসলেই সরকার পাল্টাতে চাইছে?

যেসব মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

চ্যানেল ১৪-এর রিপোর্ট / ইরানে কী কায়েম করতে চায় ইসরায়েল

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক

বিএনপির এমপি মনোনয়ন পেতে লাগবে তিন যোগ্যতা

স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই : অপু 

তেহরান ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৩

দুই যুবককে অমানুষিক নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল 

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত

১০

দুশ্চিন্তা ও ঋণ থেকে মুক্তি লাভে যে দোয়া পড়বেন

১১

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে বেড়ে গেল তেলের দাম

১২

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে রাতভর যা হলো

১৩

ইরানের সঙ্গে লেবাননও কি এই যুদ্ধে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

১৪

১৬ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

১৬

ইরান-ইয়েমেনের একযোগে হামলা ইসরায়েলে

১৭

চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, অতঃপর...

১৮

ইরানের নবম দফার হামলায় জ্বলছে ইসরায়েল

১৯

ইসরায়েলের হামলায় হতাহতের সংখ্যা জানাল ইরান

২০
X