প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ উদযাপনে দেখা যায় আলাদা আলাদা চিত্র। তবে সবার উদ্দেশ্যই হলো মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য অর্জন করা।
মুসলিমপ্রধান দেশের কথা বললে সৌদি আরবের কথা আসে সবার আগে। এর বাইরেও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরানের মতো দেশগুলোতে মুসলমানদের বসবাস সবচেয়ে বেশি। সারা বিশ্বের মোট মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশই থাকে মধ্যপ্রাচ্যে। দেশটিতে মুসলমানদের মধ্যে দুম্বা, ভেড়া, গরু এবং ছাগল কুরবানি দেওয়া হয়ে থাকে বেশি।
জনসংখ্যার দিক থেকে ২৪ কোটি মুসলিম বসবাস করেন পাকিস্তানে। দেশটির মোট জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগই মুসলমানদের দখলে। কোরবানির জন্য বিশাল জনসংখ্যার এই দেশটিতে গরু, ষাঁড় এবং ছাগলকে প্রাধান্য দেওয়া হয় বেশি।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুসলিম সম্প্রদায় খুব অল্প বসবাস করলেও প্রায় বেশ কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করেন মুসলমানরা। বিশাল আয়তনের এই দেশে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। কারণ, ভারতের সিংহভাগ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। এবং তাদের ধর্মে গো-হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে একেবারে আলাদা চিত্র দেখা যায় মুসলিম প্রধান দেশ তুরষ্কে। দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, সেখানের ৯৯ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তুরষ্কে ঈদুল আজহাকে বলা হয় 'কুরবান বায়রামি'। তুর্কির মুসলমানরা সাধারণত গরু, ছাগল ও ভেড়া কোরবানি দিলেও বাড়িতে কখনও কোরবানি দেন না। বরং নিজেদের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে কসাইখানায় কোরবানি দেওয়া হয় গরু।
বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ থাকে আফ্রিকাতে। তবে আফ্রিকান দেশ নাইজেরিয়ার বেশির ভাগ মানুষই আবার মুসলিম। কোরবানির জন্য দেশটিতে ভেড়াই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। দেশটিতে ঈদুল আজহাকে বলা হয় ‘ঈদুল কাবির’।
মন্তব্য করুন