পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে দেশটির সংসদ জাতীয় পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। সংসদ ভেঙে দেওয়ায় দেশে ক্ষমতায় আসবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সবার দৃষ্টি সেদিকে।
শাহবাজের বর্তমান পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) জোট সরকারের মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই সংসদে ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠান শাহবাজ। ফলে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৬০ দিনের পরিবর্তে ৯০ দিন পাবে নির্বাচন কমিশন।
অবশ্য সংসদ যে ৯ আগস্ট ভেঙে দেওয়া হবে, তা আরও আগেই জানিয়েছিলেন শাহবাজ। তার এ ঘোষণার পর থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবে, তা নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। রাজনীতি বিশ্লেষক ও পণ্ডিতরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে বিভিন্ন জনের নাম সামনে নিয়ে আসতে থাকেন।
আরও পড়ুন : মধ্যরাতে ভাঙল পাকিস্তানের সংসদ
যদিও গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য এখনো কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। জোটের শরিক ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) প্রধান নওয়াজ শরিফের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ আলোচনার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবেন। কয়েকটি সূত্রের বরাতে জিও নিউজ বলছে, ব্যস্ত সূচির কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবারের বৈঠক স্থগিত করেছেন রিয়াজ। তবে তাদের এই বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার হবে বলে জানিয়েছেন শাহবাজ।
প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে কারা?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বপ্রথম বিদায়ী অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নাম গণমাধ্যমে আসে। যদিও পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নাকচ করে দেয় ক্ষমতাসীন জোট।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখের নাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে। তিনি পিটিআই সরকার ও তার আগে পিপিপি সরকারের আমলে আর্থিক জার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ক্ষমতাসীন জোট পিএমএল-এন-এর শহীদ খাকান আব্বাসি এবং পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর মাখদুম আহমেদ মাহমুদও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। এ ছাড়া এই পদের জন্য সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত জলিল আব্বাস জিলানির নামও শোনা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন