পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের সাথে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে দেশটির সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও তার সহযোগীদের সঙ্গে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। দেশটিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সংসদ (জাতীয় পরিষদ) ভেঙে দেওয়া ও কাকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে অবগত রয়েছে। আমরা পারস্পারিক আগ্রহ ও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। আমরা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রেখে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চাই।
দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কাকারের ওপর আস্থাশীল। তারা ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদল উভয়ই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিন পর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন আয়োজনের তারিখ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। দেশটিতে গত ৯ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
যদিও কয়েক দিন আগে সদ্য বিলুপ্ত সংসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চে হতে পারে পাকিস্তানের নির্বাচন। কেননা একই আদমশুমারি অনুসারে একাধিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। ফলে নির্বাচনের জন্য সংবিধান অনুসারে আদমশুমারি ও সীমানা পুনঃনির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অন্যদিকে দেশটির সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ বলেছিলেন, পাকিস্তানের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারুল হক কাকারের নাম ঘোষণা পরপরই তিনি এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন