কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আরও একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব?

ভারত ও পাকিস্তানের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের অভিযোগের তীর পাকিস্তানের দিকে। প্রথম দিকে এই অভিযোগ প্রচ্ছন্ন হলেও বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। সেই হাওয়ায় ভেসে নরেন্দ্র মোদির সরকার পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতিতে প্রবেশ করল।

এখন বিশ্বের নজর ভারতের দিকে। ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তার বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। কারণ, মোদি বারবার বলছেন, অভিযুক্ত এবং পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তিনি ভারতে তার দলের নেতাদের সাথে দেখা করছেন। জরুরি সেসব বৈঠকে কী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হচ্ছে তা সাংবাদিকদের জানানো হচ্ছে না।

সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার নজির শঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। ভারত ২০১৬ সালে সীমিত পর্যায়ে পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায়। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ সদস্য নিহত হওয়ার পর ভারত বালাকোটে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায়। তখন দেশটি দাবি করেছে, তারা কথিত সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। ওই সময় পাকিস্তানও পাল্টা হামলা করে। দু-দেশের শক্তি প্রদর্শন থামে ভারতীয় এক বিমানচালককে আটকের মধ্য দিয়ে। পরে সেই উত্তেজনা যুদ্ধে গড়ায়নি।

এ ঘটনার পরবর্তী প্রেক্ষাপটে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু এবার ভারত সেই যুদ্ধবিরতি ভাঙলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পরে।

কারণ, ইসলামাবাদ এবার ছাড় নাও দিতে পারে। ভারতের যে কোনো ধরনের সামরিক হামলার পাল্টা ব্যবস্থা ভয়ংকর হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে ‘মিসক্যালকুলেশন’ বা ভুল হিসাবের আশঙ্কা। উভয় দেশের কাছে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র থাকায় সংঘাত সীমিত না থেকে বিস্তৃত আকারও নিতে পারে।

ভারতের সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেন, ভুল হিসাবের ঝুঁকি সবসময় থাকে। একপক্ষ একটু বেশিই প্রতিক্রিয়া দেখালে, অপরপক্ষও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়—এভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ভারত কিছুটা সীমিত আকারে পাল্টা আঘাত হানতে পারে, কিন্তু পাকিস্তান তা কীভাবে গ্রহণ করবে সেটাই মূল প্রশ্ন। কারণ প্রতিটি প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে।

ফলে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্ব কি আরও একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে? চির বৈরী দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যকার সংঘাতের ধকল সইতে কি পারবে বিশ্ব?

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

০৯ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

একাধিক দেশের পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা করে: আসিফ মাহমুদ

শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য সোচ্চার হতে হবে : তাসলিমা আখতার

স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

১০

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

১১

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

১২

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

১৩

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১৪

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

১৫

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

১৬

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

১৭

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১৮

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১৯

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

২০
X