কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবস্থান জানিয়েছে ভারত। দেশটির গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে তারা কাশ্মীরেই রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) সূত্রে জানা গেছে, ওই সন্ত্রাসীরা এখনো দক্ষিণ কাশ্মীরের গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে। সন্ত্রাসীরা ‘আত্মনির্ভরশীল’ — অর্থাৎ খাদ্য ও রসদের মজুদ রেখেই গোপন অবস্থানে থাকতে সক্ষম।
এনআইএ জানায়, এই আত্মনির্ভরতা তাদের বহিরাগত সাহায্যের প্রয়োজন কমিয়ে দিয়েছে। এ ধরেনের সহযোগিতা সাধারণত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এসে থাকে বলে অভিযোগ করেছে ভারত।
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলা দেশটির ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। এ হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা পেহেলগামের বিখ্যাত বাইসারান উপত্যকায় অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই অবস্থান করছিল। সন্ত্রাসীদের সহায়ক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আরো চারটি এলাকা রেকি করেছিল—এর মধ্যে ছিল আরু এবং বেতাব উপত্যকা। কিন্তু এই এলাকাগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে থাকায় তারা বাইসারানকে বেছে নেয়।
তদন্তকারীদের মতে, হামলাকারীরা উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে যা সিম কার্ডবিহীন এবং স্বল্প-পাল্লার এনক্রিপ্টেড ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এতে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া নিজেদের অবস্থান গোপন করতে অন্তত তিনটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করেছে তারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু যারা হামলা চালিয়েছে তাদের নয়, যারা এই হামলার পরিকল্পনাকারী তাদেরও খুঁজে বের করে কঠোর জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে সরাসরি দায়ী করেছেন।
মন্তব্য করুন