ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার দাবি করে আসছে। এ হামলায় আজাদ কাশ্মীরে হতাহতের খবর জানিয়েছে পাকিস্তান।
শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র মাযহার হুসেইন শাহ বলেন, গত রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে শাহ জানান, নিহতদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী এক শিশু রয়েছে। স্থানীয় সময় গত রাত থেকে শুরু হওয়া এই গোলাবর্ষণে এজেকের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং উদ্ধারকর্মীরা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আজাদ জম্মু ও কাশ্মির প্রশাসন ভারতীয় বাহিনীর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতভর গোলাবর্ষণের কারণে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং বহু মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ শুরু করেছে। গত শুক্রবার রাতে ভারত নিজেই পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি হামলা চালায়। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, সরকোটের রফিকি ঘাঁটি ও চকওয়ালের মোরাইদ ঘাঁটি এই হামলার লক্ষ্য ছিল। ভারতীয় হামলার পরপরই পাকিস্তান তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু করে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান ঘাঁটিতে চালানো ভারতীয় মিসাইল হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপরই পাকিস্তান চালায় তাদের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ অভিযান।
মন্তব্য করুন