নিরীহ নাগরিকদের ওপর ভারতের হামলার জবাবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের মহাপরিচালক আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ভারতের অভ্যন্তরে ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে জবাবি হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, লক্ষ্য নির্ধারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয়। শুধু হামলায় জড়িত সামরিক স্থাপনাগুলোকেই টার্গেট করা হয়। খবর জিও নিউজের।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের সশস্ত্র ড্রোনগুলো নয়াদিল্লিসহ ভারতের বড় বড় শহরের আকাশে নজরদারি চালিয়েছে। এই পুরো অভিযানে পাকিস্তানের তিন বাহিনী—সেনা, নৌ ও বিমান—একসঙ্গে কাজ করেছে, যা ছিল একটি ‘পাঠ্যপুস্তকীয় যৌথ সামরিক প্রদর্শনী’।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের কাশ্মীর অঞ্চলের পেহেলগামে এক ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা-কে দায়ী করে।
প্রতিক্রিয়ায় ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশে ১৪টি স্থানে বিমান হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি অভিযানের জেরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়।
গত ১০ মে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও কাতারসহ বিশ্বের বহু দেশের চাপ ও মধ্যস্থতায় দুদেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
মন্তব্য করুন