পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা মাজিদ ব্রিগেডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও স্বাক্ষরিত বিবৃতি বলা হয়েছে, সোমবার (১১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-কে বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী (ফরেইন টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন-এফটিও) এবং এর সামরিক শাখা মাজিদ ব্রিগেডকে স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন (এসডিজিটি) হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
বিবৃতির তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালেই বিএলএকে এসডিজিটি তালিকাভুক্ত করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় থাকা অবস্থাতেই ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দরের কাছে এবং বেলুচিস্তানের গাওদার বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় বিএলএ। তারপর ২০২৫ সালের মার্চে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারগামী ট্রেন জাফর এক্সপ্রেস দখল করে ৩১ জন বেসমারিককে হত্যা ৩০০ যাত্রীকে জিম্মি করার ঘটনার সঙ্গে বিএলএ এবং মাজিদ ব্রিগেড সরাসরি সংশ্লিষ্ট।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আজকের পদক্ষেপ সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ‘সন্ত্রাসী তকমা’-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হ্রাসের একটি কার্যকর উপায় এই তকমা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী তকমা দেয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও সম্পত্তি ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায়। পাশাপাশি যে কোনো সময় ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানও চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০০ সালে গঠিত বিএলএ পাকিস্তানের একটি বড় মাথাব্যাথার কারণ। দেশটিতে অনেক আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই গোষ্ঠীটিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মদদ দিচ্ছে বলে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে ইসলামাবাদ; তবে নয়াদিল্লি বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন