

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) মো. ফসিহ উল্লাহ খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার বুধবার সকালে ঢাকায় আসছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বুধবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে তার স্বামী শহীদ জিয়ার কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় পৌঁছেছেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন জয়শঙ্কর। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বাশার ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (আন্তঃসরকারি সংস্থাসমূহ ও কনস্যুলার বিষয়ক) এম ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতের সরকার ও জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মরদেহ গুলশান থেকে জানাজার উদ্দেশ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নেওয়া হয়েছে। তার মরদেহ বহনকারী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি সংসদ ভবন এলাকা নেওয়া হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বুধবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা পড়াবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। জানাজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
জানাজায় অংশ নিতে মঙ্গলবার রাত থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীর ভিড় বাড়তে থাকে। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। শেষবারের মতো খালেদা জিয়াকে একনজর দেখার আশায় তারা গণপরিবহন, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত যানবাহনে করে রাজধানীতে আসছেন।
জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া মারা যান। তার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন