পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক ব্যাট কেড়ে নিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে কমিশন। নির্বাচনের আগমুহূর্তে ইসির এই সিদ্ধান্তকে দলটির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর জিও নিউজের।
গতকাল শুক্রবার রাতে (২২ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে সংরক্ষিত রায় দেন নির্বাচন কমিশনের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ। এই বেঞ্চের প্রধান ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা।
পিটিআইয়ের সাবেক সদস্য আকবর এস বাবরের পিটিশনে ওপর শুনানি শেষে ১১ পৃষ্ঠার এই রায় দেওয়া হয়েছে। আকবরের দাবি ছিল, পিটিআই নিয়ম মেনে নির্বাচন করেনি।
ইসির রায়ে বলা হয়েছে, পিটিআই আমাদের নির্দেশনা মেনে চলেনি। পিটিআইয়ের সংবিধান, নির্বাচনী আইন, ২০১৭ ও নির্বাচনী বিধিমালা, ২০১৭ অনুযায়ী তারা দলের নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
পিটিআইয়ের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করায় ব্যারিস্টার গোহর আলী খান আর দলের প্রধান হিসেবে থাকতে পারবেন না। তিনি ইমরান খানের পরিবর্তে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ইসির এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে পিটিআই। তবে তাদের হাতে সময় খুব কম। কেননা রোববারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। ফলে পিটিআইয়ের হাতে মাত্র একদিন সময় আছে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট হবে। পিটিআইয়ের অভিযোগ, তাদের একের পর এক হামলার টার্গেট বানানো হচ্ছে। তাদের নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি এসব বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই রায় দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজহার আব্বাস জিও টিভিকে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করেনি। পিটিআই আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
মাজহার আব্বাস আরও বলেন, পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমের জোরে তাদের প্রতীক ও প্রার্থী নিয়ে তথ্য প্রচার করতে পারবে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত : এই নির্বাচন পিটিআইয়ের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।
এত কিছুর পরও পিটিআই নির্বাচন বয়কট করবে না বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার গোহর আলী খান। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন বয়কট করব না। আমাদের প্ল্যান বি আছে। তবে এ নিয়ে বিশদ বিবরণ দেননি তিনি।
মন্তব্য করুন