ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির (আইপিপি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন জাহাঙ্গীর খান তারিন। একই সঙ্গে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। খবর দ্য ডনের।
এক এক্সবার্তায় তারিন বলেন, এই নির্বাচনে যারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিরোধীদের আমার অভিনন্দন। পাকিস্তানের জনগণের ইচ্ছাশক্তির প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে দেশসেবা চালিয়ে যাব।
তারিন এক সময় ইমরান খানের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন। ইমরান খানের পরই তাকে পিটিআইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা মনে করা হতো। তবে দল ক্ষমতায় আসার পর দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক সময় দলের ভেতরেই নিজ অনুসারীদের নিয়ে আলাদা একটি গোষ্ঠী গঠন করে তাদের মাধ্যমেই ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তারিন।
এবার পাকিস্তানের নির্বাচনে ইস্তেহকাম পাকিস্তান পার্টির (পিপিপি) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এই রাজনীতিবিদ। হেভিওয়েট প্রার্থী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার দিকে দৃষ্টি ছিল সবার। নির্বাচনে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মালিক মোহাম্মদ আমির দুগার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও ইমরানের দলীয় লোক হিসেবে আমির দুগারের পরিচিতি রয়েছে। ফলে পিটিআইয়ের সমর্থনের জোরে তারিনকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।
শুক্রবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এনএ-১৪৯ আসনে আমির দুগারের কাছে পরাজিত হয়েছেন হেভিওয়েট জাহাঙ্গীর খান তারিন। ভোট গণনায় আমির দুগার পেয়েছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৬১৩ ভোট। অপরদিকে, জাহাঙ্গীর খান তারিন পেয়েছেন মাত্র ৫০ হাজার ১৬৬টি ভোট, যা আমির দুগারের প্রাপ্ত ভোটের অর্ধেকেরও কম। এই ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পিটিআইয়ের সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন