

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আসিম মুনিরকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তার নীতিগুলো দেশের জন্য ‘বিধ্বংসী’। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৭৩ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ বুধবার জেল থেকে তার বোন ডা. উজমা খানের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পর সামাজিক মাধ্যমে এসব মন্তব্য করেন।
ইমরান খান তার এক্স পোস্টে অভিযোগ করেন, আসিম মুনিরের নীতির কারণে পাকিস্তানে সন্ত্রাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তিনি দেশের স্বার্থ নয়, পশ্চিমা শক্তিগুলোকে খুশি করতেই এসব করছেন। আফগানিস্তানের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়িয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘মুজাহিদ’ হিসেবে তুলে ধরছেন।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা খান বলেন, তিনি সবসময় দেশে ড্রোন হামলা ও সেনা অভিযানের বিরোধিতা করেছেন। কারণ এসব পদক্ষেপ আরও সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে। তার দাবি, মুনির আগে আফগানদের হুমকি দেন, তারপর শরণার্থীদের বহিষ্কার করেন এবং ড্রোন হামলা চালান—যার ফল এখন পাকিস্তান বাড়তি সন্ত্রাসের আকারে ভোগ করছে।
ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন, মুনির মানসিকভাবে অস্থিতিশীল এবং তার নৈতিক দেউলিয়াত্বই পাকিস্তানে সংবিধান ও আইনের শাসনের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, মুনিরের নির্দেশেই তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে তাদের কারাবন্দি করা হয়েছে এবং ‘মানসিক নির্যাতনের’ মধ্যে রাখা হয়েছে। ইমরান বলেন, চার সপ্তাহ ধরে আমাকে সম্পূর্ণ একাকী সেলে রাখা হয়েছে। বাইরের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ। জেল নিয়মে থাকা মৌলিক অধিকারগুলোও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ইমরান অভিযোগ করেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রথমে তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হয়। এখন আইনজীবী ও পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী মানসিক নির্যাতনও নির্যাতন, অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও গুরুতর।
মন্তব্য করুন