পাকিস্তানের রাজনীতি মানেই নাটকীয়তা। দেশটিতে ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রাজনীতির পট। নির্বাচনের এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনে দেশটিতে কোনো সুরাহা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটকাতে চেষ্টার কমতি রাখা হয়নি। এরপরও তার রাজনৈতিক দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সবেচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন। যদিও তা সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত নয়।
নির্বাচনের পর রাজনৈতিক এমন অচলাবস্থার মধ্যে ইমরান খানকে ক্ষমতার পথ দেখিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নেতা খাজা সাদ রফিক। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। পার্লামেন্টে ফেডারেল সরকার গঠন সকল রাজনৈতিক দলের যৌথ দায়িত্ব। কেবল পিএমএল-এনের একক নয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতার পথ দেখিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমরা তাদের স্বাগত জানাব।
No one has absolute majority in the present National Assembly The formation of the federal government is the joint responsibility of all the parties in the parliament, not the PML-N Independent members supported by PTI should take the initiative, form a joint central government
— Khawaja Saad Rafique (@KhSaad_Rafique) February 16, 2024পিএমএল-এনের সরকার গঠনের বিষয়ে দলের এ নেতা বলেন, তার দলের সরকারের প্রধান হওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই।
নওয়াজের দলের নেতার এমন বক্তব্যের আগে পাকিস্তানে জোট সরকার গঠন নিয়ে দেশটির বড় দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যকার বৈঠক হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন চূড়ান্ত করতে শুক্রবার পিএমএল-এন ও পিপিপির সমন্বয় কমিটির মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে এ বিষয়ে পিএমএল-এন এখনো দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেনি। এ জন্য আজকের বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের দল ৭৫ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পায়। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই চলছে জোট নিয়ে আলোচনা। তাছাড়া নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন