পাকিস্তানে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এরপর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার পুনরায় ভোটগ্রহণে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের ট্যাংক জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ইফতেখার শাহ ডনকে জানান, জাতীয় আসন এনএ-৪৩ (ট্যাংক-দেরা ইসমাইল খান) সশস্ত্র গোষ্ঠীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। গোমাল পুলিশ স্টেশনের সীমানায় এ হামলা করা হয়।
তিনি বলেন, কোট আজমে পুনরায় ভোটগ্রহণ চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়েছে। এতে অন্তত এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। তবে কেন্দ্রটিতে ভোট অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে জিও নিউজ জানায়, কারচুপির অভিযোগ মাথা পেতে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাথা।
শনিবার লিয়াকত আলি বলেন, রাওয়ালপিন্ডির জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোটে কারচুপি হয়েছে। এ কাজে তিনি সহায়তা করেছেন। এ জন্য বিবেকের তাড়নাবোধ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে ১৩টি জাতীয় পরিষদ আসন এবং ১৭টি প্রাদেশিক পরিষদ আসন রয়েছে। এসব আসনের মধ্যে জাতীয় পরিষদে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থীরা ১১টি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দুটির একটিতে একজন স্বতন্ত্র এবং অন্যজন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রাদেশিক পরিষদের ২৭টি আসের মধ্যে ১৫টি পিএমএল-এন এবং ১১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
লিয়াকত আলি বলেন, এই অন্যায়ের পেছনে কে জড়িত, তা কারও অজানা নয়। জাতীয় পরিষদের ১৩ জন প্রার্থী হেরে যান। কিন্তু তাদের ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করতে আমাদের বাধ্য করা হয়েছে।
তবে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সংস্থাটি বলছে, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের কোনো নির্দেশ দেননি।
মন্তব্য করুন