লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের ১৩০ জনের বেশি কারারক্ষী ও অন্যান্য কর্মীদের জিম্মি করে নেওয়ায় অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।
বুধবার রেডিও স্টেশন ক্যানেলা রেডিওকে নোবোয়া বলেছেন, আমরা যুদ্ধে রয়েছি। আমরা এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ছেড়ে দিতে পারেনি।
গত রোববার ইকুয়েডরের সবচেয়ে শক্তিশালী মাদক চক্র লস চোনেরোসের নেতা অ্যাডলফো ম্যাকিয়াসের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন নোবোয়া। এরপরই দেশজুড়ে নতুন করে সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
মঙ্গলবার বন্দুকধারীরা একটি টিভি স্টুডিওতে ঢুকে গুলি করে। বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হুমকি দেয়। এরপর তাদের হত্যা কররা নির্দেশ দেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া দেশের ২২টি গ্যাংকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন তিনি।
অপরাধী চক্রের নেতাদের বন্দি করে রাখতে দেশে নতুন উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্টি কারাগার তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নোবোয়া সরকার। তাদের এমন পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অপরাধী চক্রের সদস্যরা সহিংসতা শুরু করেছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
প্রেসিডেন্ট নোবোয়া বলেছেন, আমরা সব জিম্মিকে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তাদের নিরাপদ ও সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য সবকিছু করছি। সশস্ত্র বাহিনীকে উদ্ধার প্রচেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইকুয়েডরের কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি কারাগারে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। এসব কারাগার থেকে ১২৫ জন প্রহরী ও ১৪ জন প্রশাসনিক কর্মীকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে অপরাধী চক্র। অবশ্য তাদের মধ্য থেকে ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন