ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় লোহিত সাগরে একটি ব্রিটিশ জাহাজ ডুবে গেছে। এরপর গোষ্ঠীটি নতুন করে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। রোববার (০৩ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে, তারা এডেন উপসাগরে ব্রিটিশ জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজ রুবিমার সাগরে ডুবে যাওয়ার পর গোষ্ঠীটি এ হুমকি দিয়েছে।
শনিবার মার্কিন সেনাবাহিনী ব্রিটিশ জাহাজ রুবিমার ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হুতিরা জাহাজটিকে লক্ষ্য করে জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে হুতি সরকারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসাইন আল-এজাজি বলেন, ইয়েমেন আরও ব্রিটিশ জাহাজ ডুবাতে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের বিলে নতুন করে আরও প্রতিক্রয়া ও ক্ষয়ক্ষতি যোগ করা হবে।
তিনি বলেন, এটি একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র যেটি ইয়েমেন ও তার অংশীজনদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এ ছাড়া তারা গাজায় বেসামরিক লোকদের ওপর চলমান অপরাধমূলক কাজে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে আসছে।
মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। এরপর এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজের নাম যুক্ত করে ইরানপন্থি গোষ্ঠীটি।
তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
লোহিত সাগরে হামলা ঠেকাতে হুতিদের নিশানা করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। যৌথ অভিযান ছাড়াও প্রায় প্রতিদিন হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এত এত হামলা করেও এখনো হুতিদের থামাতে পারছে না পশ্চিমারা।
জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর হুতিদের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলি আল-হুতি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা ও অবরোধ সমর্থন করার কারণে এই জাহাজডুবির জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার সরকার দায়ী বলে মনে করেন তারা।
মন্তব্য করুন