ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমাঞ্চলে লোহিত সাগরে একাধিক স্থাপনায় সমন্বিত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৬ জুলাই) হুদাইদা প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে শাফাক নিউজ।
হুতি সমর্থিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো হুদাইদা শহর ছাড়াও রাস ইসা, আস-সালিফ বন্দর এবং রাস কাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসব লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলটির কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত।
হুতিদের দাবি, হামলার সময় তারা শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, তাদের প্রতিরোধের মুখে কয়েকটি ইসরায়েলি বিমান পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে এই দাবিগুলো সত্য কি না তা যাচাই করা এখনো সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, এসব স্থাপনা ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ এবং হুতিদের মাধ্যমে লোহিত সাগরে সামুদ্রিক হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে হুতিরা এটি দখলে নেয়। জাহাজটি একটি জাপানি কোম্পানি পরিচালনা করলেও মালিকানা ছিল একটি ইসরায়েলি-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের।
রোববার আরেকটি ঘটনায় যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস জানায়, লোহিত সাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হুতিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র নৌকার হামলার শিকার হয়। আরপিজি এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলা নিরাপত্তা টিমের পাল্টা জবাবে ব্যর্থ হয় এবং হামলাকারীরা পিছু হটে যায়। হতাহত বা ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে- সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা বিঘ্ন, বন্দর অবকাঠামোতে হামলা এবং যুদ্ধাপরাধের ঝুঁকি গোটা অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ সংকটের দ্বার খুলে দিতে পারে।
মন্তব্য করুন