কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ০১:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাজার থেকে করোনা টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা। ছবি : রয়টার্স
অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা। ছবি : রয়টার্স

বাজার থেকে নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মঙ্গলবার (৭ মে) তারা এ ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটি নতুন করে আর কোভিড-১৯-এর টিকা উৎপাদনও করবে না।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়ে। ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি আদালতের প্রেরণ করা নথিতে স্বীকার করেছে, টিকাটি গ্রহণকারীর দেহে রক্ত​জমাট বাঁধা এবং রক্তের প্ল্যাটিলেট সংখ্যা কম হওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

কিন্তু মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এসবের কিছুই উল্লেখ করেনি। বাজার থেকে টিকা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে তারা জানায়, করোনার বিভিন্ন ধরন মোকাবিলায় বাজারে যথেষ্ট টিকা আছে। সেসব সাম্প্রতিক হওয়ায় বেশি কার্যকর। এতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার চাহিদা কমে গেছে। এ জন্য তারা নতুন উৎপাদনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সঙ্গে বাজারে থাকা টিকাগুলোও কোম্পানিটি তুলে নেবে।

এর আগে গত মার্চে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বেচ্ছায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারজাতকরণ অনুমোদন চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।

মূলত এই চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ওষুধ বাজারজাত করার অনুমতি দেয়। এবার পুরো বিশ্ব থেকে টিকা সরিয়ে নিচ্ছে তারা।

ওই কোভিড ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত ছিল। সাধারণত তিন মাসের ব্যবধানে বাহুর পেশিতে দুটি ইনজেকশন হিসেবে টিকাটি দেওয়া হতো। কিছু দেশে বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ইনজেকশনে টিকা দেওয়া হয়েছে।

পরে টিকাটি নিয়ে বিতর্ক উঠতে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ‘খুব বিরল টিটিএস’-এর ঘটনা। এর ফলেই রক্তে প্ল্যাটিলেট কমে যাওয়া এবং রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে।

খবরটি প্রচার পেলে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা চলছে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেকে এ টিকা গ্রহণ করেছেন। টিকা গ্রহণকারীরা কতটা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঈশ্বর গিলাদা জানিয়েছেন, থ্রোম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক সিনড্রোম হলো বিরল। কিন্তু এর প্রভাব গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাত্র ০.০০২ শতাংশ ক্ষেত্রেই এ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ প্রতি ৫০ হাজার লোকের মধ্যে একজনেরও কম মানুষ এমন ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের কো-চেয়ারম্যান ডা. রাজীব জয়দেব জানান, এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুধু প্রথম ডোজ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এ ছাড়া ভারতে ‘থ্রম্বোসিস থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ হওয়ার কোনো খবর নেই বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাইসির খোঁজে ৩২ সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তুরস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাস্থল থেকে মিলল সংকেত

কেন এত সময় লাগছে অনুসন্ধানে

টানা চারটি লিগ জয়ীদের এলিট ক্লাবে ম্যানসিটি

হেলিকপ্টার পাওয়ার বিষয়ে যা জানাল রেড ক্রিসেন্ট

রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে আর যারা ছিলেন

উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে শাহবাগে গাছ কাটার অভিযোগ

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

১০

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

১১

তবুও প্রার্থী হলেন সেই নাছিমা মুকাই 

১২

গাজীপুরে কারখানার ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

১৩

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ বিঘার পানের বরজ

১৪

বিয়েবাড়ি থেকে কনের পিতাকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি

১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর , এলাকায় উত্তেজনা

১৬

ঈশ্বরদীতে ফেনসিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহি আটক

১৭

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ

১৮

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি

১৯

রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান

২০
X