যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা ও চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন।
সোমবার (০৯ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করা হবে।অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা চতুর্থ দিনের মতো লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ চলছে। শত শত মানুষ একটি ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হয়েছে, যেখানে অভিবাসীদের আটকে রাখা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ইনস্যারেকশন অ্যাক্ট (Insurrection Act) প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এর আওতায় সেনাবাহিনী বেসামরিক আইন প্রয়োগে সরাসরি অংশ নিতে পারে।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য সরকার এই সেনা মোতায়েনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম বলেছেন, এটি ফেডারেল আইন এবং রাজ্যের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।
তিনি আরও জানান, ট্রাম্প আরও দুহাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে শনিবার প্রথম ধাপে ২,০০০ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের প্রধান জিম ম্যাকডনেল জানান, মেরিন সেনা মোতায়েন সম্পর্কে তার বিভাগ আনুষ্ঠানিক কোনো নোটিশ পায়নি। তিনি বলেন, এটি একটি বড় ধরনের কৌশলগত এবং অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
ট্রাম্প বলেন, আমি আর কোনো উপায় দেখছি না। সহিংসতা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে পদক্ষেপ নিতেই হবে।
ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘বলপূর্বক ক্ষমতা প্রয়োগ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। গভর্নর নিউসোমের অফিস থেকে বলা হয়েছে, এই মাত্রার সামরিক হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং নজিরবিহীন।
মন্তব্য করুন