কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ০২:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের যত আয়োজন

মার্কিন রণতরী। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন রণতরী। ছবি : সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সরাসরি জড়ানোর ঘোষণা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুদ্ধ শুরুর পর নড়েচড়ে বসেছে দেশটি। ইরানের পাল্টা হামলার পর দেশটির বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে একের পর এক উড়ছে যুদ্ধবিমান। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী পাঠিয়েছে দেশটি। সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে সব আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (১৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে বিপুল সংখ্যক জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান পাঠিয়েছে। মার্কিন দুই কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য সামরিক বিকল্প প্রদানের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী নিমিটজ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটিতে ৫,০০০ জন কর্মী এবং ৬০টির বেশি বিমান মোতায়েনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সোমবার রাতে এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার এবং এই মোতায়েনগুলো এই অঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষা ভঙ্গিমা শক্তিশালী করার জন্য।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট এয়ারন্যাভ সিস্টেমস জানিয়েছে, রোববার ৩১টির বেশি মার্কিন বিমানবাহিনীর জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান, প্রধানত কেসি-১৩৫ এবং কেসি-৪৬, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পূর্ব দিকে রওনা হয়েছে। এই বিমানগুলো জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটি, যুক্তরাজ্য, এস্তোনিয়া এবং গ্রিসের বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা বিমানের সংখ্যা সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পেন্টাগন রয়টার্সকে হোয়াইট হাউসের সাথে যোগাযোগের কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি হোয়াইট হাউস।

ডায়ামি সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের এরিক শাউটেন বলেন, ২৪টির বেশি মার্কিন বিমান বাহিনীর ট্যাঙ্কারের হঠাৎ পূর্বমুখী মোতায়েন স্বাভাবিক নয়। এটি কৌশলগত প্রস্তুতির স্পষ্ট সংকেত।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে আগত মিসাইল ধ্বংসে সহায়তা করছে। রোববার দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করার পক্ষে নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকানরা লক্ষ্যবস্তু না হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০ হাজার সেনা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ফাইটার বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এসবের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সহায়তা করতে পারে। গত মাসে পেন্টাগন ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি ঘাঁটিতে বিমান প্রতিস্থাপন করে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। এটি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মৌলিক সংস্কারে একমত না হলে গণভোট : মাওলানা আতাউর

প্রতিটি উদ্ভাবনের পেছনেই লুকায়িত থাকে মেধা ও শ্রম: পাবিপ্রবি উপাচার্য

ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

এইচএসসি পরীক্ষার জন্য খোলা হলো কন্ট্রোল রুম

ইরানের পাল্টা হামলাকে সমর্থন এরদোয়ানের

শেষ সেশনে লঙ্কানদের ছোবল, লড়াকু অবস্থানে বাংলাদেশ

ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন আজ 

হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া

অবশেষে অস্কার পাচ্ছেন টম ক্রুজ

ইরানের পরমাণু স্থাপনার কিছুই করতে পারেনি ইসরায়েল

১০

বৃষ্টি হলেই মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে না বিধবা আমেনার

১১

১২ দিন ধরে খোঁজ নেই শাওনের, সন্ধান চেয়ে পরিবারের আকুতি

১২

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ থামাতে এগিয়ে আসছেন পুতিন

১৩

যে কোনো সময় মাঠে নামতে পারে ইরানের মিত্ররা

১৪

তাণ্ডব সিনেমা পাইরেসি, গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে 

১৫

জন আব্রাহামকে বিয়ে করেছিলেন জেনেলিয়া

১৬

নাসার চেয়ারম্যানের স্ত্রীর ৫৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ 

১৭

তৃতীয় পক্ষ অংশ নিলে যুদ্ধ শুরু হবে পূর্ণ মাত্রায় : ইরান

১৮

অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার

১৯

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি খামেনির

২০
X