জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে বাতিল করেছেন।
এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। দেশটির ২৮ অঙ্গরাজ্যে এ আদেশ কার্যকর হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এ আদেশের আওতায় ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে যাদের বাবা-মা অবৈধ অভিবাসী বা অস্থায়ী ভিসা (যেমন ছাত্র, পর্যটক বা কর্মসংস্থানভিত্তিক ভিসা) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তারা আর জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
ট্রাম্পের এ আদেশ শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয় এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট এক ভোটের মধ্যমে শুক্রবার (২৭ জুন) রায় ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, দেশের নিম্ন আদালতগুলো আর পুরো দেশের জন্য কোনো নিয়ম বা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না। কোনো আদালতে শুধু যেই মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে, তার পক্ষেই সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে এখন পর্যন্ত যে ২২টি রাজ্য এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, সেগুলো বাদে বাকি ২৮টি অঙ্গরাজ্যে এই নির্বাহী আদেশটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এর আগে দ্য হিন্দু জানায়, ট্রাম্প বলেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ছিল ক্রীতদাসের সন্তানদের জন্য। এটি সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জড়ো করার জন্য নয়।
ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। কিন্তু পরের দিন এটিকে স্থগিত করে দেয় ফেডারেল আদালত। ওই সময়ে ট্রাম্প জানান, তিনি আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। আদালত তার পক্ষে রায় দেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যখন এ আদেশ পাস এবং প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন যদি আপনি পেছনে ফিরে তাকান, তাহলে দেখা যাবে যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ক্রীতদাসের সন্তানদের জন্য ছিল। এটি সমগ্র বিশ্ব থেকে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্তূপীকৃত করার জন্য ছিল না।
ট্রাম্প বলেন, সবাই আসছে, অযোগ্যরা এবং অযোগ্য শিশুরাও জড়ো হচ্ছে। এটি সম্ভবত তাদের জন্য করা হয়নি। আমি শতভাগ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। কিন্তু পুরো বিশ্ব থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্র দখল করার জন্য এটি করা হয়নি।
মন্তব্য করুন