

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে তেহরানের কোনো তাড়া নেই বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আব্বাস আরাগচি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমতার ভিত্তিতে কথা বলতে চায়, তবে ইরান পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে শর্তগুলো দিয়েছে তা হলো সরাসরি আলোচনা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ, ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে সীমা আরোপ এবং আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি ইরানের সমর্থন বন্ধ করা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির আরোপ করা এসব শর্ত অযৌক্তিক ও অন্যায্য। এই কারণেই আলোচনা বর্তমানে ‘অসম্ভব’। তারা যেমন তাড়াহুড়ো করছে না, আমরাও তেমন তাড়াহুড়ো করছি না।
আল জাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের পুনর্বহাল করা নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও ইরানের এই অবস্থান এসেছে। আরাগচি বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঘুরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি মাঝে মাঝে আমার সহকর্মীদের বলি, নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধী হলেও, তিনি একটি কাজ ভালো করেছেন—তিনি পুরো অঞ্চলকে প্রমাণ করে দিয়েছেন, ইসরায়েলই মূল শত্রু, ইরান নয়, অন্যকোনো দেশও নয়।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদির বক্তব্যের পর তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। বদর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার কট্টর ডানপন্থি সরকারকে কঠোর সমালোচনা করেন।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই জানি, ইসরায়েলই এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস, ইরান নয়। তিনি যোগ করেন, গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) বছরের পর বছর ধরে ইরানকে বিচ্ছিন্ন হতে দিয়েছে, কিন্তু এখন সেই নীতি বদলানোর সময় এসেছে।
মন্তব্য করুন