কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আফ্রিকায় পায়ের নিচে মাটি সরছে যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির সেনারা। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

খেই হারিয়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক মাত খাচ্ছে সামরিক ও অর্থনীতিতে বিশ্বের এক নম্বর দেশটি। মধ্যপ্রাচ্যে এতদিন ধরে উপস্থিতির পরও সেখানে সুবিধা করে উঠতে পারছে না। এক ইরানের কাছেই নাকানি চুবানি খাচ্ছে। সেখানে নতুন করে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এতদিনের খবরদারি এক তুড়িতেই ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং। এবার আফ্রিকা মহাদেশেও পায়ের নিচে মাটি সরছে যুক্তরাষ্ট্রের।

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় ধরা খাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এবার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও একটি খারাপ খবর দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাটহ্যাম হাউস। তাদের দাবি, আফ্রিকায় নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের এমন অভাবনীয় আগ্রাসন ওয়াশিংটনকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে আফ্রিকার নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে রাশিয়া। এবার চীনের কাছ থেকেও ধাক্কা খেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে চীন একটি ঐতিহ্য অনুসরণ করে চলছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বছরের প্রথম সফরটা আফ্রিকা মহাদেশেই করেন। এ বছর এর ব্যতিক্রম হয়নি। বছরের প্রথম সফরে বেরিয়ে মিশর, তিউনিশিয়া, টোগো ও আইভরি কোস্ট গিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ দেশগুলোর প্রতিটিরই উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। তবে চ্যাটহ্যাম হাউস, চীনের লক্ষ্য অন্য কোথাও। এমন দেশে ঘাঁটি গাড়তে চায় চীন যে দেশের কোনো নৌ বা সমুদ্র বন্দর নেই।

বর্তমানে জিবুতিতে চীনের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ২০১৭ সালে ওই ঘাঁটি চালুর পর এবার নাকি চীনের নজর নাইজারের দিকে। নাইজারে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়েছে রাশিয়া। এবার চীনও সেখানে ঢুকে পড়লে অবাক হওয়ার মতো কিছু ঘটবে না। গেল বছরের এপ্রিলে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র অন্যকে মার খেয়ে অন্য কোথাও ঠিকানা খুঁজছে। আর সেই সুযোগটাই হয়তো কাজে লাগাতে চাইছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন, রাশিয়া ও ভারতও আফ্রিকায় নিজেদের ‘পদচিহ্ন’ রাখতে পারছে না বা হিমশিম খাচ্ছে। সবমিলিয়ে আফ্রিকায় চীনের দীর্ঘমেয়াদি ভিশন, বেইজিংকে অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে। আর জিবুতির ঘাঁটির কারণে গালফ অব এডেনে চীনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে, যা সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ে পদক্ষেপকে সহজ করে দিয়েছে। তবে চীনকে এটাও মাথায় রাখতে হবে, নাইজারে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র টিকতে পারেনি। তাই বুঝে শুনেই পদক্ষেপ নিতে হবে শি জিনপিংকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদত্যাগ

পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে কিম জং উনের নতুন হুমকি

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে দুদক

১৮০ টাকার জন্য পরীক্ষা দিতে দিলেন না প্রধান শিক্ষক

৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে

ভুলেও প্রেসার কুকারে রান্না করবেন না যে ৫ খাবার

আলো-অন্ধকারের দার্শনিক জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকীতে গভীর অভিবাদন

‘ত্রাণ নয়, রাস্তা চাই’

‘ডাকসুকে ব্যবহার করে বড় নেতা হয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন হয়নি’

১০

প্রতিজ্ঞা ভেঙে হোয়াইট হাউসে স্যুট পরে হাজির জেলেনস্কি

১১

এনসিপি থেকে বহিষ্কার হয়ে মাহিনের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

১২

বেরোবিতে তৃতীয় দিনেও অনশন চলছে, গঠনতন্ত্র চূড়ান্তে ইউজিসির সভা বৃহস্পতিবার

১৩

মাটির নিচে মিলল পিস্তল-গুলি

১৪

জুলাই গণহত্যার আসামির জামিন বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য

১৫

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসা করলে কি ৪০ দিনের ইবাদত নষ্ট হয়ে যায়?

১৬

হঠাৎ অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর প্রধান

১৭

ইসিকে ৪০ লাখ ইউরো সহায়তা দেবে ইইউ

১৮

ভারতীয়রা কেন অন্ধভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করে?

১৯

আ.লীগ কার্যালয়ে এবার বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাইনবোর্ড

২০
X