দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ও সূচকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কোনোদিন সূচকের উত্থান হচ্ছে কিন্তু লেনদেনের অঙ্ক নেমে যাচ্ছে তলানিতে, আবার কোনোদিন টাকার অঙ্কে লেনদেন ভালো হলেও সূচক কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ডিএসইতে গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫টির দর বেড়েছে, ১৭৮টির কমেছে। আর ৭৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৮১টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪৪টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫৩টি শেয়ার ও ইউনিট।
গতকাল দরপতনের চাপের মধ্যেও সূচক সামান্য বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৫ পয়েন্টে উঠেছে। এ ছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্টে এবং বাছাই করা ৩০ কোম্পানির
ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেনের অঙ্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কম। এটি গত ১৯ জুনের পর সর্বনিম্ন লেনদেন, ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩০৫ কোটি টাকার।
অন্যদিকে, দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকগুলো কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৮৯ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৮০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩টির দর বেড়েছে, ৯৪টির কমেছে আর ৩৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল। এক্সচেঞ্জটিতে মোট ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকার চেয়ে সামান্য বেশি।
মন্তব্য করুন