বিশ্ববেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

তানজানিয়ায় নির্বাচন-পরবর্তী আন্দোলনে নিহত ৭০০ জন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

তানজানিয়ায় গত সপ্তাহের বিতর্কিত নির্বাচনের ফল নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৭০০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির বিরোধী দলের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বিরোধী দল চাদেমা পার্টির মুখপাত্র জন কিতোকা বলেছেন, দার-এস-সালামে প্রায় ৩৫০ জন এবং এমওয়ানজাতে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যদি অন্যান্য জায়গার নিহতের সংখ্যা আমরা যোগ করি, তাহলে এটি প্রায় ৭০০ জন হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্রও হতাহতের একই সংখ্যা জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে এএফপি।

তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তারা অন্তত ১০০ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে।

কিতোকা জানিয়েছেন, চাদেমার পক্ষ থেকে যে মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে, তা দলের সদস্যদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। যারা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গিয়ে মরদেহ গণনা করেছে।

কিতোকা বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের বার্তা হলো- আমাদের বিক্ষোভকারীদের হত্যা বন্ধ করুন। পুলিশি নির্যাতন বন্ধ করুন। জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখান। এটাই হলো নির্বাচনী ন্যায়বিচার। তিনি বলেন, ‘আসলে কোনো নির্বাচনই হয়নি। আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে।’

তানজানিয়ায় গত সপ্তাহে নির্বাচন হয়। এতে প্রধান দুটি বিরোধী দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এরপর মঙ্গলবার থেকে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী দার-এস-সালামে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।

বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপীড়ন এবং নির্বাচনে ব্যাপক বিধিনিষেধের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়। শুক্রবার আন্দোলন তৃতীয় দিনে গড়ায়। আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, নির্বাচন কমিশন যেন ফল ঘোষণা বন্ধ করে দেয়।

এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া দেশের বেশিরভাগ জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দের-এস সালামের কয়েকটি এলাকায় কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামে মানুষ। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। সেখানে গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়।

১৯৬১ সালে স্বাধীনের পর থেকে তানজানিয়ার সরকার পরিচালনা করছে চামা চা মাপিনদুজি (সিসিএম) নামের একটি দল। যারা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে। গত বুধবার যে নির্বাচন হয়, সেখানে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখেন। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২০২১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর সামিয়া সুলুহু হাসান দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভিডিও ডাউনলোডের জন্য কিছু সহজ ও নির্ভরযোগ্য অ্যাপ

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ রোববার

দেশ ও জাতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : ড. জালাল

আবারও বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাবিশ’

স্বাস্থ্য, ত্বক ও ঘরের যত্নে ছোট্ট জাদু ‘আদা’

একটি রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে : ব্যারিস্টার খোকন

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করুন ব্র্যাক ব্যাংকে

তছনছ করে দুর্বল হলো ঘূর্ণিঝড় মেলিসা

সিরিয়ার ওপর সিজার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১০

প্রজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক

১১

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবে পেন্টাগন

১২

অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা ফাইন্যান্স

১৩

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৪

দেশের ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাতিল হবে : মান্নান

১৫

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৬

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

০১ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন / অনাবাসিকদের প্রার্থিতা ও ভোটাধিকার নিয়ে বিতর্ক

১৯

বগুড়ায় ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়ে নির্বাচনী জনসংযোগে ব্যস্ত বিএনপির যেসব প্রার্থী

২০
X