বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির ওপর পাঠচক্রের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা। ২৪ আগস্ট দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ পাঠচক্র হয়। পাঠপ্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ফোরামের সদস্য প্রত্যুত দেবনাথ, মাহমুদুল হাসান ও নিশাত তাসনিম। প্রত্যুত দেবনাথ বলেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়া বাঙালির কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। জাতির পিতার জীবনের প্রায় ৩৫টি সংগ্রামী বছরের কথা উঠে এসেছে এতে। অনেকটা জুড়ে আছে বঙ্গবন্ধু ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সম্পর্কের বিষয়গুলো। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে সোহরাওয়ার্দীর প্রভাব যে কতটা ছিল, তা বইটিতে বেশ স্পষ্ট। মাহমুদুল হাসান বলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক অনেক বিষয়েও জানতে পেরেছি। রাজনৈতিক কারণে বারবার গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে তাকে। পারিবারিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যে প্রভাব সেটিকে ছাড়িয়ে গেছে তার রাজনৈতিক জীবন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর লেখনীতে ফুটে উঠেছে, একদিন সকালে বঙ্গবন্ধু তার স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। শেখ হাসিনা ও শেখ কামাল খেলছিলেন। তখন কামাল হাসিনাকে বলছেন, ‘হাসু আপা, হাসু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি?’ প্রায়ই জেলে থাকার কারণে ছোটবেলা থেকেই পিতা বঙ্গবন্ধুকে কাছে পাননি শেখ কামাল। এই কথা শুনে বঙ্গবন্ধু ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে বললেন, ‘আমি তো তোমারও আব্বা।’ এই এক লাইনেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কতটা আত্মত্যাগ করেছিলেন এই দেশ-জাতির জন্য। নিশাত তাসনিম বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম। তার রাজনৈতিক দর্শন ও ভাবনার মিশেলে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ইতিহাস উঠে এসেছে। বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী এবং স্ত্রী রেণুর অনুরোধে জীবনী লিখতে বসেছিলেন কারাবন্দি অবস্থায়। বইটি পড়ে মনে হয় আরও যেন অনেক কথা বলার ছিল তার। সঞ্চালনায় থাকা রেদ্ওয়ান আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিকার একপর্যায়ে বলেছেন, এ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত আত্মজীবনী লিখেছেন। সম্পাদনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। বইটির ভূমিকাও লিখেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা লিখেছিলেন ২০০৭ সালে কারাবন্দি অবস্থায়।
মন্তব্য করুন