

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আদালতে হাজির হয়েছেন। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) তেলআবিবের আদালতে হাজির হন তিনি। প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করার পর এটি তার প্রথম আদালত উপস্থিতি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীরা বলছে, দোষ স্বীকার না করে ক্ষমা চাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে তাকে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার শর্তে ক্ষমা বিবেচনা করা যেতে পারে। কিছু রাজনীতিবিদ আবার দাবি করছেন— ক্ষমা চাইতে হলে প্রথমে ২০২৬ সালের আগে জাতীয় নির্বাচন ডাকতে হবে।
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, ইসরায়েলকে এই বিশৃঙ্খলা থেকে বের করতে চাইলে নেতানিয়াহু রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা যেতে পারে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু পদত্যাগ করলে পরবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বেনেট।
২০১৯ সালে ঘুষ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন ইসরায়েলের দীর্ঘতম মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০২০ সালে তার বিচার শুরু হয়। তবে নেতানিয়াহু বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং ক্ষমা আবেদনে দোষ স্বীকার করেননি। তার আইনজীবীরা বলছেন, বিচার শেষ হলে তিনি সম্পূর্ণভাবে বেকসুর খালাস পাবেন।
সোমবার আদালতের বাইরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর দাবি জানান। অনেকে কমলা রঙের কারাগারের পোশাক পরে বিক্ষোভে অংশ নেন।
এর আগে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত চিঠিতে নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা বলেন, ঘনঘন আদালতে হাজিরা দেওয়া তার ক্ষমতা ব্যবহারে বাধা তৈরি করছে এবং দেশের স্বার্থেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। তবে ইসরায়েলে সাধারণত মামলা শেষ হওয়ার পরই ক্ষমা দেওয়া হয়— বিচার চলাকালে ক্ষমা দেওয়ার কোনো নজির নেই।
প্রেসিডেন্ট হারজগ বলেন, বিষয়টি ‘সঠিক ও নিখুঁতভাবে’ বিবেচনা করা হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ‘রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনা করে।
মন্তব্য করুন