নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অন্যতম হলো চিনি। সেই চিনির উৎপাদন হয় আখ থেকে। চিনির দাম বাড়ায় ভালো দাম পাওয়ার আশায় দিনাজপুরের খানসামার কৃষকরা ঝুঁকছেন আখ চাষে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের বাম্পার ফলনও হয়েছে। ন্যায্য দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। খানসামার বিভিন্ন বাজারে আখের বেশ চাহিদা রয়েছে। এ উপজেলায় উৎপাদিত আখ সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ায় এর কদর অনেক বেশি। পাইকাররা এসব আখ উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখের আবাদ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আখের ফলন ভালো। ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের কৃষক রণজিত রায় বলেন, লাভজনক হওয়ায় এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আগামীতে আরও বেশি চাষ করার পরিকল্পনা করেছি। ভেড়ভেড়ী ডাঙ্গাপাড়ার আখচাষি মোস্তফা কামাল বলেন, ৩ বছর ধরে আখের চারা চাষ করছি। এ বছর ১৬ শতক জমিতে ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা শও বিক্রি করেছি এবং করছি। একই এলাকার আরেক চাষি আব্বাস আলী বলেন, আমি অল্প কিছু জমিতে আখ চাষ করি। এখান থেকে কিছু আখ পাইকারের কাছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বাকি আখ নিজেই খুচরা দরে বিক্রি করি। ছোট আখ ৫০ থেকে ৬০ এবং বড় আখ ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করি। বিক্রির টাকা থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ভৌগোলিক ও মাটির উর্বরতার কারণে উপজেলায় বিভিন্ন ফসলসহ আখ চাষ উপযোগী। তাই দিন দিন উপজেলায় বাড়তি লাভের আশায় আখ চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। আখ চাষে উদ্যোগী কৃষকদের কৃষি দপ্তর থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন