কবির হোসেন
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৫ এএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মামলা বেড়ে দ্বিগুণ বিচারপতি কমেছে

দুর্ভোগে বিচারপ্রার্থী
মামলা বেড়ে দ্বিগুণ বিচারপতি কমেছে

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে মামলার জট বেড়েই চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলা প্রায় সাড়ে ৫ লাখে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। এক যুগ আগের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে মামলার জট বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু বিচারপতির সংখ্যা বাড়েনি। বরং এক যুগ পর এসে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা কমে গেছে। এ ছাড়া এক যুগ আগে আপিল বিভাগে যে সংখ্যক বিচারপতি কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে সেই সংখ্যক বিচারপতিই কর্মরত।

অন্যদিকে, বিচার বিলম্বে দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়ে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বিলম্বিত বিচার বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচারকে ব্যাহত করছে। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দ্রুতই উভয় বিভাগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

জানা গেছে, এক যুগ আগে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি কর্মরত ছিলেন ১০১ জন। তখন মামলা বিচারাধীন ছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার। এক যুগ পরে এসে বর্তমানে হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার। মামলা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হলেও বিচারপতি কমে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৮৩ জন। অন্যদিকে, ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন সাতজন। তখন মামলা বিচারাধীন ছিল ১৬ হাজার ৬৪৭টি। এক যুগ পর বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারপতি রয়েছেন সাতজন। অন্যদিকে, মামলার জট বেড়ে পৌঁছেছে ২৬ হাজারের ওপরে। আর বিচার বিভাগের সার্বিক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে সারা দেশে (অধস্তন আদালত ও উচ্চ আদালতে) মোট মামলা বিচারাধীন ছিল ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৯টি। এক যুগ আগে এই সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮২৭টি। এক যুগের ব্যবধানে প্রায় ২০ লাখ মামলার জট বেড়ে গেছে সারা দেশের আদালতগুলোতে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলা জট বেড়ে যাওয়ায় বিচারের গতি একেবারেই কমে গেছে। বিচার বিলম্বে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণ। বিচারপ্রার্থীরা বছরের পর বছর এমনকি যুগ কেটে গেলেও বিচার পাচ্ছেন না। অনেক মামলার বিচার দেড় যুগ ধরে আটকে আছে সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে করতে অনেক বিচারপ্রার্থীর মৃত্যুও হচ্ছে। কিন্তু বিচার শেষ হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে প্রধান বিচারপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। অন্যথায় বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমবে এবং হতাশা বাড়তেই থাকবে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক মামলা জট প্রসঙ্গে বলেন, ‘মামলাজট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বিচারকের সংখ্যা বাড়লে নিষ্পত্তি বেড়ে যাবে।’ এ বিষয়ে আইন কমিশন থেকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি।

আইন কমিশনের ওয়েবসাইটে গত বছরের অক্টোবরে মামলাজটের ওপর একটি প্রতিবেদন দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন আইনি জটিলতা ও নানারকম পারিপার্শ্বিক কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা ও মামলাজট সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে জটিল আকার ধারণ করেছে, যা জনগণকে তাদের ন্যায়বিচার লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এ মামলাজট এক দিনে বা এক বছরে হয়নি। বহু বছরের পুঞ্জীভূত সমস্যা বর্ধিত হয়ে বর্তমানে এই অসহনীয় পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে মামলাজটের ইতিহাস তুলে ধরে এতে আরও বলা হয়, গত শতকের আশির দশকের প্রারম্ভ থেকে অনেক নতুন আইনের আওতায় নানা ধরনের আদালত সৃষ্টি করা হয় এবং সেসব নতুন আদালতের দায়িত্ব বিদ্যমান বিচারকগণকেই তাদের আগের বিচারিক কার্যের অতিরিক্ত হিসেবে পালন করতে হয়। গত এক দশকে কিছু কিছু পদ সৃষ্টি হলেও তা প্রকৃত চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে বিচারকার্যের এই বাড়তি চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে একদিকে স্তূপীকৃত মামলার পরিমাণ বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, একই বিচারককে নিজস্ব আদালতের বাইরেও অনেক সময় একাধিক আদালতে বিভিন্ন ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অন্তিমে অনেক ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার ব্যাহত হতে থাকে; বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ জনগণের আস্থা কমতে থাকে এবং অবশ্যম্ভাবী রূপে আপিল ও রিভিশনের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে উপর্যুক্ত কারণাধীনে বিভিন্ন ধরনের মামলার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার প্রভাব বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগেও পড়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে জেলা পর্যায়ে মামলাজটের একমাত্র কারণ না হলেও প্রধান কারণ বিচারকের সংখ্যার অপ্রতুলতা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এজলাসের সংকট। কিছু কিছু নতুন আদালত ভবন নির্মাণ শুরু হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। ফলে এজলাস ও বিচারক সংকটের কারণে বর্তমানে ৪০ লক্ষাধিক মামলার জট কোনোভাবেই সমাধান সম্ভব নয়। বরঞ্চ মামলা নিষ্পত্তির হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও প্রতিদিনই নতুন নতুন মামলা-মোকদ্দমা দায়ের হচ্ছে এবং এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মামলার পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট।

মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনকি গত ১৫ বছরে তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এই অস্বাভাবিক মামলাজট নিরসনের ব্যাপারে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের শুধু আস্থাই হারিয়ে যাবে না; বরং বিচার ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে।

প্রতিবেদনে মামলার জট কমাতে অতি দ্রুত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জরুরিভিত্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে পদ সৃজনপূর্বক কমপক্ষে ৫ হাজার বিচারক নিয়োগ করা হলে বর্তমান মামলার জট কমিয়ে মামলার সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সীমিত সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্বল্প সময়ে এতসংখ্যক বিচারক নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব নয় এবং অধিক সংখ্যক বিচারক একসঙ্গে নিয়োগ প্রদান করলে তাদের গুণগত মানেরও অবনতি ঘটতে পারে। তাই ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫০০ বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। এই সুপারিশ ছাড়াও প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। কিন্তু এসব সুপারিশ ফাইলবন্দি হয়ে আছে।

মামলাজট প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, যে হারে দেশে লোকসংখ্যা বেড়েছে, সে হারে কোর্ট সংখ্যা বাড়েনি। এ ছাড়া এখন অনেক ধরনের আইন তৈরি হয়েছে, যেগুলো আগে ছিল না। এসব নতুন আইনে নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। এগুলো নিষ্পত্তির জন্য যে পরিমাণ বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন, সে পরিমাণ নিয়োগ হচ্ছে না। বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া কোনোভাবেই জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য সংবিধান মোতাবেক নিয়োগবিধি তৈরি করে দ্রুত বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

২০০৭ সালের পর থেকে বিশ্লেষণ:

২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সময় আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারপতি ছিলেন সাতজন। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন মো. রুহুল আমিন। ওই বছর মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল ৪ হাজার ২২০টি। বছর শেষে মামলা বিচারাধীন ছিল ৮ হাজার ৯৯৭টি। একই বছরে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ছিলেন ৬১ জন। সে বছর হাইকোর্ট বিভাগে মোট মামলা নিষ্পত্তি হয় ২৫ হাজার ৬৮৯টি। বছর শেষে মোট বিচারাধীন ছিল ২ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৯টি। ২০০৮ সালের শেষের দিকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এ সময় তারা বিচার বিভাগের দিকে নজর দেয়। উচ্চ আদালতে বেশ কিছু বিচারপতি নিয়োগ দেয়। এর ফলে ২০০৯ সালে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ জনে। এ ছাড়া হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি দাঁড়ায় ৭৮ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বাড়তে থাকে। কিন্তু আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা আর বাড়েনি। ২০১২ সালে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০১ জনে পৌঁছায়। তখন আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা কমে ছিল সাতজন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা সাত থেকে ১০ জনের মধ্যে ওঠানামা করতে থাকে। সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগে সাতজন বিচারপতি কাজ করছেন। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগেও বিচারপতির সংখ্যা ৯০ থেকে ১০০-এর মধ্যে ওঠানামা করতে থাকে। সর্বশেষ ২০২২ সালের জুলাইয়ে ১১ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। তখন বিচারপতির সংখ্যা ৯৫ জনে পৌঁছায়। প্রায় দুই বছর বিচারপতি নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিচারপতির সংখ্যা কমে সর্বশেষ ৮৩ জনে পৌঁছেছে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন ছিল ৬ হাজার ৮৯২টি। এরপর ২০০৯ সালে আপিল বিভাগে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বিচারপতি ছিলেন। সে বছর মামলার জট কমে যায়। ওই বছর শেষে বিচারাধীন মামলা থাকে ৫ হাজার ২৬০টি। এর পর থেকে আপিল বিভাগে বিচারপতি আর বাড়েনি, মামলাজটও কমেনি। বছরের পর বছর বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছেছে ২৬ হাজারের ওপরে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিভাগে মামলা বিচারাধীন ছিল ২৬ হাজার ৫১৭টি।

অন্যদিকে, হাইকোর্ট বিভাগে ২০০৭ সালে মামলা বিচারাধীন ছিল ২ লাখ ৯৩ হাজার। তখন এ বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। এরপর যে হারে মামলাজট বেড়েছে, বিচারপতির সংখ্যা আর সে হারে বাড়েনি। দেড় যুগের ব্যবধানে মামলার জট প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে মামলা বিচারাধীন ছিল ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭টি। অন্যদিকে, বিচারপতির সংখ্যা আরও কমে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘কিছু বিচারপতি অবসরে গেছেন। কিছু আপিল বিভাগে নিয়োগ হয়েছে। এ কারণে বিচারপতির সংখ্যা কমেছে। আশা করছি, অচিরেই বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। তখন সংকট কেটে যাবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাতসকালে দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, বাসে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদ নেতা

তামাকবিরোধী ইয়ুথ মার্চ  / তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাতিল, দ্রুত আইন পাসের আহ্বান

দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সিট পেয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে : ফজলুর রহমান

নেতাকর্মীদের ধৈর্যশীল আচরণের আহ্বান আমিনুল হকের 

বাংলাদেশ হবে বসবাস ও বিনিয়োগের স্বর্গ: আব্দুল মুক্তাদির

ঢাকায় অ্যাপোলো ক্লিনিকের যাত্রা শুরু

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে দেখতে হাসপাতালে ডা. রফিক

একাত্তরের ইস্যুর সমাধান চাইল এনসিপি

রাজধানীতে তামাকের বিরুদ্ধে ‘ইয়ুথ মার্চ’

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী-শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

১০

ত্রিবার্ষিক সম্মেলন / আবারো জামালপুর জেলা বিএনপির নেতৃত্বে শামীম-মামুন

১১

দাবি আদায় ছাড়া ঘরে না ফেরার ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীর

১২

লিডসের বিরুদ্ধে আর্সেনালের গোল উৎসব

১৩

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

১৪

এনসিপির কর্মকাণ্ডে ফিরছেন সারোয়ার তুষার

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

১৬

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

১৭

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

১৮

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

১৯

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

২০
X