তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা আজ। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশেষ সভা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে—এমন ধারণা থেকেই নির্বাচনে তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করতে দ্বন্দ্ব ভুলে দলের প্রার্থীর জন্য কাজ করতে দেওয়া হতে পারে বার্তা। সভায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন দলের সভাপতি।
দলের এ বিশেষ বর্ধিত সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যকার মনোমালিন্য দূর করতে বিশেষ বার্তা দেবেন সভাপতি। একই সঙ্গে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মতামত শুনবেন।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক মহলে বইছে উত্তাপের হাওয়া। মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং সরকারের উন্নয়নের প্রচারণা সভায় বার্তা দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া উন্নয়নের প্রচারে সহায়তা করতে গত সাড়ে ১৪ বছরের সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি বর্ণনা করে তৈরি করা হয়েছে বই, যা সভায় তৃণমূল থেকে আসা নেতাকর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত থাকতে দলের তৃণমূলে পাঠানো হয়েছে চিঠি। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে তালিকা। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এই বর্ধিত সভায় অংশ নেবেন। তবে, দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে যেসব জনপ্রতিনিধি জয়ী হয়েছেন তাদের এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সভা সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এই সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সব সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রদের।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালবেলাকে বলেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিশেষ বর্ধিত সভাটি আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষ বর্ধিত সভায় নেত্রী আগামী নির্বাচন উপলক্ষে দিকনির্দেশনা দেবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল দ্বন্দ্ব নিরসন করে দলের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেবেন। এ ছাড়া গত সাড়ে ১৪ বছরের সরকারের উন্নয়নের প্রচার, বিরোধীদের অপপ্রচার ও আন্দোলন মোকাবিলায় এই সভাটি থেকে দলের পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হবে।
গত ৩০ জুলাই বর্ধিত সভার তারিখ নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারিখ পরিবর্তন করে ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের এ ধরনের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ২৩ জুন।
মন্তব্য করুন