জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় পদ্ধতির ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক দলগুলো। সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করার পক্ষেও তারা। আর সংসদ বা সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরই বহাল রাখার পক্ষে দলগুলো। অন্যদিকে একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হতে কোনো বাধা না রাখার কথাও বলেছে দলগুলো। টানা দুই মেয়াদের পর বিরতি দিয়ে একই ব্যক্তি ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে তারা। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের আলোকেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। তবে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের ফ্লোর ক্রসিংয়ের সুযোগ প্রদানের বিষয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে। ঐকমত্য কমিশনের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কমিশনের সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। আর গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছে।
সূত্র জানায়, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসহ বেশিরভাগ দলই জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে মত দিয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রেও ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে তারা। পাশাপাশি সংসদের মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করার পক্ষে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতা করে বেশিরভাগ দলই পাঁচ বছর করার ব্যাপারে মত দিয়েছে। এ ছাড়া নারীর উন্নয়ন ও সংসদে নারী প্রতিনিধি বাড়াতে বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে মত দিয়েছে দলগুলো। ফলে এ চারটি বিষয়ে দলগুলোর ঐকমত্যের আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। এ ছাড়া একই ব্যক্তি টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না—সংস্কার কমিশনের এ প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ চেয়েছে দলগুলো। ফলে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়টিতেও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে ঐকমত্য কমিশন। অন্যদিকে, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়েও একমত হয়েছে দলগুলো।
জানা গেছে, সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশের আলোকে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রায় ৬৯৪টি প্রস্তাবের মধ্যে পাঁচ শতাধিক বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে সংস্কারের কিছু মৌলিক সুপারিশের বিষয়ে একমত হয়নি দলটি।
কমিশনের সুপারিশের মধ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, নিম্নকক্ষের ৪০০ আসনের মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নয়, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়া, ন্যায়পাল নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, বিদ্যমান সংবিধানের ৭(ক) ও ৭(খ) বিলুপ্ত করাসহ বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ আইন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) গঠন, মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো, গণভোট, ৭০ অনুচ্ছেদ, সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, নারী আসনে সরাসরি ভোট, রাষ্ট্রের
সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর করা, নিম্নকক্ষে তরুণদের জন্য ১০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়া, সংসদ নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করা এবং একই ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধানের পদে না থাকার বিষয়সহ বেশকিছু সুপারিশে বিএনপি একমত হয়নি।
সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে বিএনপি ১৪১টিতে একমত হয়েছে। আংশিক একমত হয়েছে ১৪টিতে, মন্তব্যসহ ভিন্নমত দিয়েছে ৬৪টিতে। আর একমত নয় ২৪টিতে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৮৭টিতে তারা একমত হয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৮৯টি সুপারিশকে দলটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ৬২টিতে তারা একমত হয়েছে। দুদক সংস্কার কমিশনের ২০টি সুপারিশের মধ্যে একটিতে তাদের আপত্তি আছে। সংবিধান সংস্কারের ১৩১টি সুপারিশের বেশিরভাগের সঙ্গেই দলটি একমত হয়েছে।
বিএনপি অবশ্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সে আইনে রাষ্ট্রপতিকে কী কী ক্ষমতা দেওয়া হবে, তা তারা স্পষ্ট করেনি। দলটি বলেছে, এ বিষয়ে পরবর্তী সংসদে আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে। দলটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা তাদের অঙ্গীকার। তবে একই ব্যক্তি একাধারে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না; এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন—এই দুটি প্রস্তাবে একমত নয় দলটি। এক ব্যক্তি মাঝখানে বিরতি দিয়ে সর্বোচ্চ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, এমন একটি প্রস্তাব আলোচনায় এলেও তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর করা, সংবিধান সংশোধনে দুই কক্ষের অনুমোদনের পর গণভোট করা, জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাবিত বিধান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নামে আলাদা অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা, সংবিধানে দেশের নাম পরিবর্তন, নিম্নকক্ষে তরুণদের জন্য ১০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়া, সংসদ নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার মতো প্রস্তাবগুলোতেও বিএনপি একমত হয়নি। আর দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং নিম্নকক্ষে সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করার বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে তাদের মত ভিন্ন।
আরেক প্রধান রাজনৈতিক দল জামায়াত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতেও একমত পোষণ করেছে দলটি। ৭০ অনুচ্ছেদের কিছু সংশোধনীসহ কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে দলটি। সেটি হচ্ছে সংবিধান পরিবর্তন, অর্থবিল বা বাজেট অনুমোদন এবং আস্থা ভোট ছাড়া বাকি যে কোনো বিষয়ে একজন সংসদ সদস্য যে কোনো দলের ও মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন।
দলটির নেতারা এনসিসি প্রস্তাবের সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। কিন্তু পাওয়ার এবং অথরিটির জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন বলে কমিশনকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন দলটির নেতারা।
অন্যদিকে জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি ((এনসিপি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া স্প্রেডশিটে থাকা ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টি প্রস্তাবে পুরোপুরি একমত হয়েছে। এ ছাড়া ২৯টি প্রস্তাবে আংশিক একমত এবং ২২টিতে একমত হতে পারেনি দলটি।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলটির নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে একমত হয়েছেন। একমত হয়েছেন বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের বিষয়েও। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ব্যাপারে একমত হয়েছেন নেতারা। তারা বলেছেন, নির্বাচনের আগেই উচ্চকক্ষের প্রার্থী কারা, তা দলগুলোকে ঘোষণা করতে হবে। কারণ, নির্বাচনে একজন ভোটার একটি দেবেন। সে ক্ষেত্রে তার জানার অধিকার আছে উচ্চকক্ষে কারা যাচ্ছেন।
এ ছাড়া ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ এবং টানা দুই মেয়াদের পর প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়েও একমত পোষণ করেছেন দলটির নেতারা। একমত হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়টিতেও।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ (এলডিপি) বিএনপি ও সমমনা জোটের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই প্রায় বিএনপির মতো করে তাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৮টি বিষয়ে একমত, ৩২টি বিষয়ে দ্বিমত এবং ২৬টি বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাবে একমত, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে আপত্তি, প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থায় দ্বিমত, সংবিধানের সংশোধনী উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমোদন ও গণভোটের বিধানকে সমর্থন এবং প্রার্থীর বয়সসীমা ২১-এর পক্ষে লিখিত মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনে দেওয়া মতামত সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে একমত হতে হবে এমন নয়। কারণ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দর্শন, বিভিন্ন চিন্তা থাকবে, ভিন্নমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে যেখানে যেখানে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর বাইরে সংস্কার করার সুযোগ নেই। যেসব প্রস্তাবে দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে সেই বিষয়গুলো জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে জাতি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, জাতি গণতন্ত্র ফিরে পেতে যাচ্ছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা যে কয়টি বিষয়ে একমত হয়েছি তার ভেতরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। আমরা জাতীয় সংবিধান কাউন্সিলের প্রস্তাবের সঙ্গেও নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। কিন্তু পাওয়ার এবং অথরিটির জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন। আমরা সেটি বলেছি, উনারাও আলোচনার জন্য অগ্রসর হয়েছেন। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির ব্যাপারে আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এবং এ ব্যাপারে একমত। তবে আমরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের পক্ষে। তার মানে সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন হবে মার্কা বা দলের ভিত্তিতে। সারা দেশে যে দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সেই পরিমাণে সংসদে আসন নির্ধারিত হবে।
এদিকে বেশিরভাগ সুপারিশে বিএনপির সমর্থনের বিষয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অবশ্য কিছু মৌলিক সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়নি। এসব বিষয়ে মতানৈক্য দূর করতে আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবনা এবং ঐকমত্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সব দল সব বিষয়ে একমত হবে না, এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য বিএনপিসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হবে সেটি আমলে নিয়েই ঐকমত্য প্রকাশ করে সংস্কার করতে হবে। কিছু সংস্কার বাকি থাকলে তা পরবর্তী সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য রেখে দিতে হবে। তবেই আমরা এর সুফল পেতে পারি।
মন্তব্য করুন