

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হলেও সেখানে নবীন ও নারীদের সংখ্যা হাতেগোনা। মূলত অভিজ্ঞ প্রবীণেই আস্থা রেখেছে দলটি। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে ১১৪ জনই নতুন। যদিও তাদের কেউ কেউ পারিবারিক রাজনীতি থেকে এসেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রার্থী তালিকা পড়ে শোনান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তবে ৬৩ আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। এসব আসনের অধিকাংশই শরিকদের জন্য ছাড়তে পারে দলটি। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি এখন ‘বৃহত্তর জোট’ গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয় ছিল। তবে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তিনটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে। এগুলো হলো দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও বাড়বে। অন্যদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোটে দাঁড়াবেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। এবারই প্রথম ভোট করবেন তিনি। আর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী হবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে।
এর আগে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে দুপুর ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। ২০১৪ সালের দশম সংসদের মতো ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছিল দলটি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় এবার নির্বাচনের মাঠে জামায়াতে ইসলামীকেই বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে এ বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচন সামনে রেখে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছে বিএনপি। এজন্য তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে তিনশ আসনে অন্তত পাঁচটি মাঠ জরিপ চালানো হয়। এরপর তিনি সাংগঠনিক টিমেরও মতামত নেন। যেখানে গ্রুপিং বা সংকট বেশি মনে হয়েছে, সেখানে নিজে অথবা স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সারা দেশে তিনশ আসনের এক হাজারের অধিক সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন। যাকে দল মনোনয়ন দেবে—তার পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান।
চার মাস আগে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। এরপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি, এলডিপি এবং সর্বশেষ লেবার পার্টি আলাদা আলাদাভাবে প্রার্থী তালিকা দিয়েছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনী প্রচারে যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য তুলনামূলক আগেই দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলো বিএনপি।
তারুণ্যের প্রতিনিধি মাত্র ১৩ জন: নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী হিসেবে শতাধিক আসনে তরুণরা দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রার্থী করার ক্ষেত্রে দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তরুণদের মূল্যায়নের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তার তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। তরুণদের মধ্য থেকে মাত্র ১৩ জনকে বেছে নিয়েছে বিএনপি। তাদের মধ্যে যশোর-৬ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। শ্রাবণই দলের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। এছাড়া রয়েছেন, বরিশাল-৪ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ভোলা-৪ আসনে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ফরিদপুর-৪ আসনে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, গোপালগঞ্জ-১ আসনে সেলিমুজ্জামান সেলিম, চট্টগ্রাম-৫ আসনে মীর হেলাল, চট্টগ্রাম-৭ আসনে প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ঢাকা-৪ আসনে তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৬ আসনে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-১৬ আসনে আমিনুল হক, নওগাঁ-৩ আসনে ফজলে হুদা বাবুল, কুষ্টিয়া-২ আসনে রাগীব রউফ চৌধুরী ও কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে শরীফুল আলম।
নারী প্রার্থী ১০ জন: আগামী নির্বাচনে ১০ জন নারীকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়া ছাড়াও প্রার্থী হচ্ছেন ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টু (ঝালকাঠি-২), সানজিদা ইসলাম তুলি (ঢাকা-১৪), শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর-২), নায়াবা ইউসূফ আহমেদ (ফরিদপুর-৩), বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা (সিলেট-২), আফরোজা খান রিতা (মানিকগঞ্জ-৩), ফারজানা শারমিন (নাটোর-১), সানসিলা জেবরিন (শেরপুর-১) ও সাবিরা সুলতানা (যশোর-২)।
সংখ্যালঘু চারজন: ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছে দল। তারা হলেন ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী, রাঙামাটি দীপেন দেওয়ান এবং বান্দরবানে সাচিং প্রু।
ঢাকার সাতটিতে ধানের শীষের প্রার্থী বদল, ছয়টিতে পুরোনো মুখ: ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাকি ছয়টিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি। এর মধ্যে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খন্দকার আবু আশফাক, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) আসনে লড়বেন আমানউল্লাহ আমান। আগের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তার ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এবারও ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ-জিনজিরা) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। ঢাকা-৪ (যাত্রাবাড়ী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তানভীর আহমেদ রবিন। এ আসনে গত নির্বাচনে মনোনয়ন পান তার বাবা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ঢাকা-৫ (ডেমরা) আসনে নতুন মুখ নেই; সেখানে এবারও লড়বেন নবী উল্লাহ নবী। কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর নিয়ে গঠিত ঢাকা-৬ আসনে লড়বেন ইশরাক হোসেন। গতবার আসনটি গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। ঢাকা-৮ আসনে (মতিঝিল-শাহজাহানপুর-রমনা) প্রার্থী করা হয়েছে মির্জা আব্বাসকে। তিনি আগের নির্বাচনেও এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ঢাকা-১১ (বাড্ডা) আসন থেকে লড়বেন এম এ কাইয়ুম। আগের বার এ আসনে বিএনপি থেকে লড়াই করেন শামীম আরা বেগম। ঢাকা-১২ (তেজগাঁও) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সাইফুল আলম নীরবকে। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক। এবার তার জায়গায় দেওয়া হয়েছে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সানজিদা ইসলাম তুলিকে। ঢাকা-১৫ (কাফরুল) আসনে লড়বেন শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। এ আসনটি আগেরবার জামায়াতের আমির মো. শফিকুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। আমিনুল হক লড়বেন ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসন থেকে। এ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মো. আহসান উল্লাহ হাসান। ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে গত নির্বাচনের মতো এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের বড় অংশই প্রার্থিতা তালিকায়: দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বড় অংশই প্রার্থী হচ্ছেন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। তারেক রহমান প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। অন্যদিকে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রার্থী হবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৪ সদস্যের মধ্যে আরও ৯ জন প্রার্থী হচ্ছেন। তারা হলেন কুমিল্লা-১ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ আসনে আব্দুল মঈন খান, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কক্সবাজার-১ আসনে সালাহউদ্দিন আহমদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভোলা-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও দিনাজপুর-৬ আসনে ডা. জাহিদ হোসেন। তবে বর্ষীয়ান নেতা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও নজরুল ইসলাম খানের পাশাপাশি সেলিমা রহমান প্রথম দফার তালিকায় নেই। এর মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির পঞ্চগড়-১ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে সাতজন প্রার্থী হচ্ছেন: দলের ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে প্রার্থী হচ্ছেন সাতজন। তারা হলেন পটুয়াখালী-১ আসনে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ আসনে বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান, ফেনী-৩ আসনে আবদুল আউয়াল মিন্টু, মাগুরা-২ আসনে নিতাই রায় চৌধুরী, কুমিল্লা-৩ আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও টাঙ্গাইল-৮ আসনে আহমেদ আজম খান। আলোচনায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু ও আসাদুজ্জামান রিপন বাদ পড়েছেন প্রার্থী তালিকা থেকে।
তালিকায় আছেন উপদেষ্টামণ্ডলীর ২২ জন: চেয়ারপারসনের ৮১ জন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ২২ জন। তারা হলেন কুমিল্লা-৬ আসনে মনিরুর হক চৌধুরী, ঢাকা-২ আসনে আমান উল্লাহ আমান, নোয়াখালী-১ আসনে মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-৪ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক, বরিশাল-১ আসনে জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-৫ আসনে মজিবুর রহমান সারোয়ার, নেত্রকোনা-৪ আসনে লুৎফুজ্জামান বাবর, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাজভীর উল ইসলাম, পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৪ আসনে মুশফিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খান রিতা, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মঈনুল ইসলাম খান, সিলেট-১ আসনে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ আসনে তাহমিনা রশদীর লুনা, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিলেট-৬ আসনে এনামুল হক চৌধুরী, টাঙ্গাইল-২ আসনে আবদুস সালাম পিন্টু, ফেনী-২ আসনে জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, কিশোরগনজ-৪ আসনে ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার-৩ আসনে নাসের রহমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশীদ।
বাদ পড়েছেন আলোচিত অনেক নেতা: আলোচিত কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের প্রথম দফার মনোনয়ন তালিকায় নেই। আর ছয় যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে তিনজন মনোনয়ন পেয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় নেই অন্য তিন যুগ্ম মহাসচিব হলেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবির। যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে নরসিংদী-১ আসনে খায়রুল কবির খোকন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং ময়মনসিংহ-১ আসনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স রয়েছেন প্রার্থী তালিকায়।
মন্তব্য করুন