কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনের আগেই ফিরতে মরিয়া পলাতক শক্তি

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস
নির্বাচনের আগেই ফিরতে মরিয়া পলাতক শক্তি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শক্তিগুলো বুঝে গেছে, তরুণ যোদ্ধারাই তাদের পুনরুত্থানের সবচেয়ে বড় বাধা। তাই নির্বাচন আসার আগেই তারা এসব বাধা সরিয়ে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে সহিংসতা ও চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।’

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটকে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করে ‘ভোট রক্ষা করার, দেশকে রক্ষা করার’ আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তারিখ রেখে তপশিল ঘোষণার পর এই প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণের শুরুতেই দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্রছাত্রী, নারী-পুরুষ, নবীন-প্রবীণ—সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। মুক্তিযুদ্ধসহ ‘স্বাধীনতার জন্য যুগযুগ ধরে লড়াই-সংগ্রামে যারা আত্মত্যাগ করেছেন’ সেই বীর যোদ্ধা ও শহীদদের অবদান তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘জাতীয় নেত্রী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এ বিষয়টি আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তিনি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার, দেশের উন্নয়নে তার অবদান এবং তার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধাময় আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার এরই মধ্যে তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরিবারের ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সব বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়—এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত। শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। আপনারা তার জন্য মহান আল্লাহতায়ালার কাছে অন্তরের অন্তস্তল থেকে দোয়া করুন।’ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই—সংযম বজায় রাখুন। অপপ্রচার বা গুজবে কান দেবেন না। ফ্যাসিস্ট টেররিস্টরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব। তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। তাদের বন্ধুরা যত দিন তাদের সঙ্গে আছে, তত দিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সে জন্যই তো এত তাড়াহুড়া। তারা চায়, নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ এর একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার আমার সবার ভবিষ্যৎ। আপনার আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। যোগ্য লোককে ভোট দিন। জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।’ এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে ‘উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জাতির সামনে তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনের জন্য ‘সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ’ পরিবেশ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, কখনো শত্রু হিসেবে দেখবেন না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। তা হলো— জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, একটি জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একটি মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ও স্বচ্ছ, প্রমাণভিত্তিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের ওপর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেশে ফেরানোর জন্য সরকার যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এরই মধ্যে বেশকিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করা হয়েছে। কয়েক ডজন পুরোনো আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য এটি আদেশ আকারে জারি হয়েছে।’ এখন জনগণকেই সিদ্ধান্ত দিতে হবে, সে কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে এখন নাগরিকদের অনুমোদন নেওয়ার পালা। তাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের সিদ্ধান্ত অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথরেখা এখান থেকেই সূচিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় একই সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে আপনারা ‘হ্যাঁ/না’ ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দিন। আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি, তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।”

এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখবেন না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সেই মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম। নির্বাচনের মাঠে এমন একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে, তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের দুশমন। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার অবশ্য কর্তব্য। ভোট জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর। ভোট বাক্সে ভোট জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ আর রচনা করা যাবে না। আপনার ভোট আপনি সযত্নে ভোট বাক্সে দিয়ে আসুন। কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন।’

জাতির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখবেন, ভোট রক্ষা করা দেশ রক্ষা করার সমান দায়িত্ব। ভোট রক্ষা করুন। দেশকে রক্ষা করুন। ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা। এই চাকা কাউকে চুরি করতে দেবেন না।’ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে বেশকিছু রদবদল আনার বিষয়টি তুলে ধরে ইউনূস বলেন, ‘এই পরিবর্তনগুলো কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ প্রসূত নয়। এগুলো করা হয়েছে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং পেশাগত সক্ষমতার ভিত্তিতে। আমাদের লক্ষ্য একটাই—দেশের প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারেন নিরাপদ পরিবেশে, ভয়মুক্ত মনে এবং সর্বোচ্চ স্বাধীনতায়।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কেন গণভোটের আয়োজন করা হলো, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যাতে দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কারদিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এই গণভোট হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এখানে আপনাদের প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।’ এবারের গণভোটের প্রভাব ‘শতবর্ষব্যাপী’ হবে মন্তব্য করে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আপনারা জানান—আপনারা কি জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না। আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।’

ভাষণের শেষভাগে তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এক নতুন ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। এই দেশ আমাদের, এই রাষ্ট্র আমাদের, এর ভবিষ্যৎও আমাদের হাতেই। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। আমরা এবারের বিজয় দিবসকে জাতীয় জীবনে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে নিতে চাই। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক অনুপ্রেরণা ধারণ করে জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যে নবযাত্রা সূচিত হয়েছে, তা এগিয়ে নেওয়াই আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব।’

জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন, শতবর্ষের সংগ্রাম ও বহু কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিতে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি। ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী এবং লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের পথে। আসুন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবিকতা ও উন্নয়নের পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাই।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রেম-বিয়ে নিয়ে বিরোধ, বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

স্কয়ার গ্রুপে চাকরির সুযোগ

রাজাকার ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

নরসিংদীতে ১৭ দিনে ৭ খুন, বাড়চ্ছে উদ্বেগ

নতুন অতিথি আসছে নাগা-শোভিতার সংসারে, গুজন নাকি সত্যি?

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নতুন নির্দেশনা ইসির

অবস ও গাইনি স্পেশালিস্ট পদে চাকরি দিচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট

কেরানীগঞ্জে অস্ত্র-ককটেলসহ চার ডাকাত গ্রেপ্তার

রাজধানীর যেসব স্থানে বসছে ডিএমপির চেকপোস্ট

ইউক্রেন নিয়ে জার্মানির নতুন পরিকল্পনা

১০

অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে হামলাকারীর পরিচয় নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১১

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

মহাসড়কে ভারতীয় ২ তরুণের কাণ্ড

১৩

নাশকতার দুই মামলায় মির্জা আব্বাস-আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি 

১৪

‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

১৫

বিএনপিতে যোগ দিলেন সাবেক জামায়াত নেতা

১৬

আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব : নচিকেতা

১৭

বাংলাদেশকে উচিত শিক্ষা দেবে ভারত : আসামের মুখ্যমন্ত্রী

১৮

এলাকার সবার কাছে প্রিয় শরিফ ওসমান হাদি

১৯

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান শামসুল ইসলাম

২০
X