আঙ্গুর নাহার মন্টি
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০৭:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের অবস্থানে স্বস্তিতে আ.লীগ

আওয়ামী লীগের লোগো।
আওয়ামী লীগের লোগো।

বাংলাদেশে নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদল প্রশ্নে আওয়ামী লীগের প্রতি ইতিবাচক অবস্থান অটুট রেখেছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশের নানামুখী চাপ সত্ত্বেও নিকটতম প্রতিবেশী ও পরীক্ষিত বন্ধু দেশটির এমন অবস্থানের বার্তা পেয়ে স্বস্তিতে রয়েছে ক্ষমতাসীনরা। ঢাকা ও দিল্লির একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এবং সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নানা সমীকরণ দৃশ্যমান হচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা তৎপরতাও চলছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার সত্ত্বেও নতুন ভিসা নীতি, কংগ্রেসম্যানদের চিঠিসহ নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে নিরন্তর চাপে রাখছে। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। ঢাকা, দিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নিয়ে দেশে-বিদেশে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকা বেশ জোরেশোরেই আলোচনা হচ্ছে। কারণ, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়েও বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত অনেকটা ভিন্ন অবস্থান বজায় রাখে।

জানা গেছে, মার্কিন চাপের মধ্যেও ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্ব থেকে বার্তা মিলেছে, শেখ হাসিনার মতো ‘পরীক্ষিত বন্ধু’কেই ভরসা করে ভারত। টানা তিনবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগের ব্যাপারেই ইতিবাচক প্রতিবেশী দেশটি। শুধু তা-ই নয়, বন্ধু হিসেবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কও করেছে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকে বাংলাদেশের বেশি মাত্রায় ঝুঁকে পড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত কারও জন্যই ইতিবাচক হবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অঞ্চলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থানকেও বেশ গুরুত্ব দেয় ভারত। ইতোমধ্যে দেশটি জি-২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েছে। এটি বিশ্বের পরাশক্তি ও প্রভাবশালী অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থনের একটি বড় বার্তা।

আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ১৮তম আসরে সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি জানাতে ভোলেননি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে আগামী মাসে বিজেপির আমন্ত্রণে ভারত যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ভারত এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব বেশ নিবিড়। তিস্তাসহ নানা অমীমাংসিত ইস্যু সত্ত্বেও গত দেড় দশকে এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বরাবর ঢাকা-দিল্লি একযোগে সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতও প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে সরকার ও জনগণকে স্বস্তি দিয়েছিল ভারত। একই বিষয় দেখা যায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায়ও। এসবই শেখ হাসিনার সরকারকে বন্ধু ভারতের কৌশলগত সমর্থন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, প্রতিবেশী বন্ধুদেশের এই অকুণ্ঠ সমর্থন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরও সাহসী ও দৃঢ় করেছে। এ কারণে তিনি বলছেন, বাইরের কারও চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করার ব্যাপারেও তিনি কঠোর হবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভারত এদেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক সরকার চায়। এ চাওয়া তো এদেশের মানুষেরও। দুদেশের বর্তমান সরকারের চাওয়াগুলো দুদেশের জনগণের জন্যও ইতিবাচক।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, যেখানে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে। নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সব বড় শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে সরকার। জিডিপির প্রবৃদ্ধি, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন অগ্রগতি অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর নজরও বাংলাদেশের ওপর রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দেয় না, বরং এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের মতো বন্ধুর জন্য তো বটেই, সব বন্ধু দেশ ও উন্নয়ন সহযোগীর জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।’

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি নীরবে নজর রাখলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ বন্ধুদেশ হিসেবে ভারত ভালোভাবে নেবে না। কারণ, মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকেও চাপে রাখতে সচেষ্ট। আর ভারত কখনো বাংলাদেশের ক্ষতি চায়নি। সব সময় এদেশের পাশে থেকেছে। এবারও অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বাইরের হস্তক্ষেপ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত পছন্দ করবে না বলে মনে করছি। যদিও স্পর্শকাতর ইস্যুতে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে সমর্থনের চেয়ে আমরা ভারতের বন্ধুসুলভ সাম্প্রতিক আচরণগুলো পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতেরও শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি ভরসা রাখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের মাটি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে না দেওয়ার কারণেও ভারত সরকার ও জনগণ শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের প্রতি আস্থা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এমন বাস্তবতায় প্রতিবেশীর ওপর মার্কিন চাপে দিল্লিও অস্বস্তি বোধ করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কখনো কোনো মন্তব্য বা কূটনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করেনি।

ভারত বারবার বলেছে, বাংলাদেশের মানুষ কাকে ভোট দেবেন, কোন দলকে সমর্থন করবেন, তা তাদের বিষয়। এ বিষয়ে ভারত অনধিকার চর্চা করে না, করবেও না। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে বলে ভারত সেই সব ঘটনা থেকে চোখ ফিরিয়েও থাকতে পারে না।

এরই প্রতিফলন দেখা গেছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময়। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সুলিভানের বৈঠকেও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে ভারতের স্বার্থ বিনষ্ট হয় ও আঞ্চলিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই বার্তা কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশকেও জানানো হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।

বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা কূটনৈতিক তৎপরতা বেশি দৃশ্যমান হলেও বড় ফ্যাক্টর যে ভারত এটা সবারই জানা। তাই আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে রয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোও। লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও তার উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে চেষ্টা জারি রেখেছেন। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বিএনপি নেতারা। গত মার্চে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন।

বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপিসহ দেশের সরকারবিরোধী সব দলই জানে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারতের সমর্থনের পাল্লা ভারী। ভারতের কাছে বাংলাদেশে কোনো দলই আওয়ামী লীগের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি। আর সরকারও সংবিধান অনুসারে যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই ভারতও নিজেদের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত এবারও আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে থাকবে। এ কারণেই গত ১৮ জুন রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায়।

এ প্রসঙ্গে সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের নিরন্তর সমর্থনও সর্বজনবিদিত। গত দেড় দশকে ঢাকা-দিল্লির মজবুত সম্পর্ক পুরো বিশ্ব মূল্যায়ন করে। প্রধানমন্ত্রীও ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু বলে মনে করেন। দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ভিত বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তার কন্যা শেখ হাসিনা সেই বন্ধুত্ব বহুমাত্রিক এবং আরও পরিণত করেছেন। যার কারণে ভারতের কাছে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নেই।’

এদিকে, বাংলাদেশের নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদলে বিদেশিদের প্রভাব নতুন নয়। তবে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে বিশ্বাস করেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। গত জানুয়ারিতে ঢাকায় সফরে আসা ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। কিন্তু ভারত আমাদের পাশে আছে। ভারতকে আমরা বন্ধু হিসেবে পাশে দেখতে চাই। আমাদের ভোট আমাদের জনগণ। আপনারা পাশে থাকলে আমরা শক্তি পাই। কারণ, আমাদের এখানে শত্রু বেশি, ষড়যন্ত্র বেশি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাড়ল বাস ভাড়া

পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে ক্লিন সিটি : চসিক মেয়র

জুলাই সনদে মিত্রদের ‘কাছাকাছি মতামত’ দেওয়ার পরামর্শ বিএনপির

সন্তানকে বাঁচিয়ে প্রাণ দিলেন বাবা

সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

১০

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

১১

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

১২

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

১৩

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

১৪

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

১৫

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১৬

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১৭

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১৮

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৯

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

২০
X