১৯৯১ থেকে ২০১৮—দীর্ঘ এ সময়ে ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। জয়ের ব্যবধানও ছিল বিশাল। ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি অন্য কোনো দল। ফলে ‘নৌকা’র মনোনয়ন পেলেই ধরে নেওয়া হতো নিশ্চিত বিজয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর সেই অবস্থা নেই। এবার নৌকার প্রার্থীর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ঈগল’। দলের মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। দুজনই বর্তমান সংসদ সদস্য। একজন এই আসন থেকে নির্বাচিত, আরেকজন সংরক্ষিত আসনের।
ড. আবদুস সোবহান গোলাপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম আড়াই যুগের বেশি সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তার ‘ঈগল’ প্রতীকের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন।
শুধু মাদারীপুর-৩ নয়, নৌকার দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলার বেশিরভাগ আসনেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। কাকতালীয় হলেও সব আসনেই নৌকার প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানানো স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক ‘ঈগল’। এর মধ্যে ফরিদপুর জেলার চারটি আসনের সব কটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেখছেন ভোটাররা। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরে একটি করে এবং রাজবাড়ী জেলার দুটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন।
ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনে সমান তালে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। এ আসনে একটি উপনির্বাচন বাদে বরাবরই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়লাভ করে আসছেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এক লাখের বেশি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুর রহমান। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে মনোনয়নবঞ্চিত হলেও এবার তাকেই ‘নৌকা’ দিয়েছে দল। এ আসনে বিএনপি ছেড়ে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরও প্রার্থী। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছেন কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান দোলন।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা) আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের উপনেতা প্রয়াত সাজেদা চৌধুরীর সন্তান শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুকে জোরালো লড়াইয়ে ফেলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া। ঈগল প্রতীকের এই প্রার্থী ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সংসদীয় আসনের দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীও ঈগলের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।
ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ফরিদপুর-৩ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শক্ত অবস্থানে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদের আজাদ (এ. কে. আজাদ)। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। এ আসন থেকে যখন যিনি জয়ী হয়েছেন, তিনিই মন্ত্রী হয়েছেন। ফলে এটি জাতীয় সংসদের অন্যতম ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এ আসনে সর্বোচ্চ পাঁচবার বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী চারবার আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন দুবার। বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে এ আসনটিতেই শুধু বিএনপির ধারাবাহিক আধিপত্য রয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সাল থেকে এই আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে ২০২০ সালের ৭ জুন সরকারের শুদ্ধি অভিযানে মোশাররফের অনুগত বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মামলার জালে ফেঁসে যান। অনেকে যান আত্মগোপনে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়েন খন্দকার মোশাররফও।
এ আসনটিতে এবার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। আইনি লড়াইয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও জেলার অধিকাংশ নেতাকর্মী তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ. কে. আজাদের প্রতীক ঈগলের পক্ষ নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে শামীম হকের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে গুলিবর্ষণ, ক্যাম্প ভাঙচুর, দলবদ্ধ মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রচার কাজে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন এবং সদরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে চোখ রাঙাচ্ছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। গত দুটি নির্বাচনে এ আসনটিতে নৌকা প্রতীকের কাজী জাফর উল্যাহকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন। এবারও ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন তিনি। ফলে ভোটাররা আবারও একটি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখবেন বলে আশাবাদী।
মাদারীপুরের ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। মাদারীপুর-৩ আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮-এর নির্বাচনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আবুল হোসেন। এরপর ২০১৪ সালে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করেন দলটির বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এবার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম। দীর্ঘবছর ধরে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য।
ঈগল প্রতীক নিয়ে দিনরাত নির্বাচনী এলাকার মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন তাহমিনা। দীর্ঘদিন কলেজের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকায় নির্বাচনী এলাকায় আলাদা গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে এই নারী নেত্রীর। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তার সঙ্গে নেমেছেন। ফলে আবদুস সোবহান গোলাপ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম বলেন, ‘সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। নিজের জীবনের সঙ্গে কালিমা লেপন করতে দিইনি। শুধু মানুষের ভালোবাসায় সিক্তই হয়েছি। এলাকার উন্নয়নে বৃহত্তর ভূমিকার রাখার অভিপ্রায়ে শেষ বয়সে প্রার্থী হয়েছি। মানুষও ভালোবাসা উজার করে দিচ্ছে। আশা করছি বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারব।’
রাজবাড়ী জেলার দুটি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী কেরামত আলী। অন্যদিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস।
ভোটাররা বলছেন, এলাকায় ইমদাদুল হক বিশ্বাসের জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফলে অন্যবারের মতো সহজেই নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন।
রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। অন্যদিকে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
স্থানীয়রা বলছেন, এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হলেও জিল্লুল হাকিমের একক আধিপত্য দীর্ঘবছর ধরে। স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মীদের জিল্লুল হাকিমের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে না, এমন ভরসায় এই নির্বাচনের সুযোগে বিরোধীরা নুরে আলম সিদ্দিকীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দুর্গই বলা চলে গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানি) আসনকে। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই দুর্গে বেশ কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নৌকা প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের লড়াইয়ে ফলাফল এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছেন না ভোটাররা। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা এমপি হয়ে আসা ফারুক খান এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার। ভোটের মাঠে জনপ্রিয় কাবির মিয়া গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাচনে। পরাজিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। গোপালগঞ্জের মতো জায়গায় নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় জেলার রাজনীতিতে আলোচিত নামে পরিণত হন কাবির মিয়া। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি; কিন্তু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে প্রার্থিতা বাতিল হয় কাবির মিয়ার। পরে আপিলের মাধ্যমে আবার তিনি তার প্রার্থিতা ফিরে পান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার কর্মী-সমর্থকদের ধারণা, গত উপজেলা নির্বাচনের মতো এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
শরীয়তপুরের ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি আসনে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে। শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র হয়ে ঈগল প্রতীকে লড়ছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী।
এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের হয়ে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটানা পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন খালেদ শওকত আলীর বাবা জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত কর্নেল (অব.) শওকত আলী। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে শামীমকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়। তবে বাবার জনপ্রিয়তা এবং নিজের স্বচ্ছ ইমেজ নিয়ে সমানতালে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী খালেদ শওকত।