এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০০ টাকারও বেশি কমেছে কাঁচামরিচের দাম। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। আর পাইকারি বাজারে মানভেদে ১২৫ থেকে ২০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে জেলা শহরের বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও খুচরায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে হঠাৎ কাঁচামরিচের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ এলাকাভেদে ৭০০-৮০০ টাকায়ও বিক্রি হয়। এরপর ঈদের ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ভারত থেকে আসতে শুরু করে কাঁচামরিচ। এ খবরে সারা দেশেই দাম কমতে শুরু করে।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার ৪৬ হাজার ২৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে ২২৯ টন কাঁচামরিচ দেশে এসেছে। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত এসেছিল ১০৪ টন। বাকিটা গতকাল এসেছে।
এদিকে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রংপুরে সাংবাদিকদের বলেন, সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা কাঁচামরিচের দাম বাড়িয়েছে। সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে। মরিচ আসা শুরু হয়েছে। আশা করছি দাম কমে যাবে। আমি শুনেছি দাম ইতোমধ্যেই কমতির দিকে আছে।
এদিকে গতকাল রাজধানীসহ সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কাঁচামরিচের বাজার তদারকিতে একযোগে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ফলে অনেক খুচরা ব্যবসায়ী বেশি দামে কেনা কাঁচামরিচ কম দামে বিক্রি করেছেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ গড়ে ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি রায়সাহেব বাজার, মিরপুর, কালশী, খিলগাঁও, মহাখালী সিটি করপোরেশন মার্কেট, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল, ধানমন্ডিসহ বেশিরভাগ বাজারে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
কাওরান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, কাঁচামরিচের দাম ব্যাপক কমেছে। পাইকারি বাজারে মানভেদে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য (সিরিয়াল ব্যতীত) আমদানিকারক সমিতির আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের আগে সরকার কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিলেও এক দিন পরই ছুটি শুরু হয়। ফলে আমদানিকারকরা এলসি পাঠালেও মাল আসেনি। ছুটি শেষে ব্যাপক হারে কাঁচামরিচ দেশে আসে। ফলে পাইকারি বাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম কমতে থাকে। পচনশীল পণ্য হওয়া কাঁচামরিচ বাড়তি দামে বিক্রির সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন