কবির হোসেন
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০৩:০৭ এএম
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অভিযুক্তরা দেশ ছাড়লে ‘ঘুম ভাঙে’ দুদকের!

অভিযুক্তরা দেশ ছাড়লে ‘ঘুম ভাঙে’ দুদকের!

প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর। সেই নির্দেশনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পৌঁছায় পরদিন ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায়। কিন্তু এর প্রায় এক ঘণ্টা আগেই বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার। তার দেশত্যাগ নিয়ে সে সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন হাইকোর্ট।

ওই ঘটনার পর হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন দেশ থেকে পালিয়েছেন। দুদকের নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকার পরও হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন। দেশ ছেড়ে গেছেন প্রায় ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। হদিস নেই বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির মূলহোতা ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুরও।

সম্প্রতি সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সর্বশেষ গত রোববার থেকে উধাও হয়ে গেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান।

এভাবেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রাঘববোয়ালরা। আর এর পরই নড়েচড়ে বসে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা।

গত কয়েক বছরে বড় বড় দুর্নীতিবাজের একজনকেও আটক করা সম্ভব হয়নি। অনেকের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকার পরও পালিয়ে গেছেন। আবার অনেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ আসার আগেই দেশ ছেড়েছেন। এভাবে একের পর এক হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে যুক্ত দুর্নীতিবাজদের দেশ ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমত দুদককে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে ধীর গতি এবং কঠোর তৎপরতার অভাবে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিতে হচ্ছে দুর্নীতি দমনের জন্য গঠিত স্বাধীন এ প্রতিষ্ঠানটিকে।

জানতে চাওয়া হলে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) এবং অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মো. মঈদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘এভাবে বড় বড় দুর্নীতিবাজ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পুরো দায় দুদকের। সংস্থাটির ধীরে চলো নীতির কারণে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।’

জানা যায়, ২০০৪ সালের দুদক আইনে দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশনের কোনো কর্মকর্তার যদি বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি তাহার নিজ নামে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির মালিক বা দখলদার যাহা তাহার ঘোষিত আয়ের সহিত অসংগতিপূর্ণ এবং যাহা ধারা ২৭-এর অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধ, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো এজাহার দায়ের হইবার পূর্বেই অনুসন্ধানের প্রয়োজনে আবশ্যক হইলে উক্ত কর্মকর্তা, কমিশনের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিয়া, উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন।’

দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদক কাউকে গ্রেপ্তারে আইনে দেওয়া বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োগ করছে না। পুলিশের যেমন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতা দুদকেরও আছে। প্রথমত, আপাতবিশ্বাসযোগ্য এবং দ্বিতীয়ত, যুক্তিসংগত সন্দেহ থাকলেই মামলা করার আগেই যেমন পুলিশ যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে, তেমনি দুদকও যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু দুদক সেটা করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় কারও দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর আলোচনা হচ্ছে, এরপর অনুসন্ধানের কার্যক্রম শুরু করছে দুদক। কিন্তু দুদক বিধিমালার ১০(১)(চ) বিধিতে বলা আছে, যদি নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পায়, তাহলে অনুসন্ধান ছাড়াই কমিশন সরাসরি মামলা করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করতে পারবে। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে সম্পদ বিবরণী জারির বিধানের প্রয়োগ প্রযোজ্য হবে না। সরাসরি মামলা করতে পারবে। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না।’

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের সম্পদ সরাসরি ক্রোক ও ফ্রিজ করা হয়েছে। দুদকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলেই আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এই আদেশ দিয়েছেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে বলেই তো সম্পদ ক্রোক করেছে। তাহলে তাকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হলো কেন? সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করতে পারলে তাকে গ্রেপ্তারে বাধা ছিল কোথায়? যারা এরই মধ্যে পালিয়েছে, তাদের সবার ক্ষেত্রেই এই বক্তব্য প্রযোজ্য। যেখানে দুদকের গতি ক্ষিপ্র হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ধীরে চলছে। ফলে আসামিরা পালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর করে ফেলছে, বিক্রি করে ফেলছে। আমি মনে করি, এসব রাঘববোয়ালকে ধরতে দুদকের কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান কালবেলাবে বলেন, ‘দুদক আইনের বিধিবিধান, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কারও ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিতে দুদক বিলম্ব করেনি। কারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতের অনুমতি নিতে হবে। দুদককে তো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুদকের হাতে সুযোগ আছে। মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে রোববার অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে কেউ পালিয়ে গেলে তাকে প্রত্যাবর্তন চুক্তি অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা হবে, ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে। তবে আরও দ্রুত নিষেধাজ্ঞার আদেশ কীভাবে জারি করা যায়, সেটাও দেখতে হবে।’

হাইকোর্টের ক্ষোভ; দুদক-পুলিশ ‘ঠেলাঠেলি’

এর আগে অন্তত তিনজন বড় দুর্নীতিবাজের দেশত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেল, তা জানতে চান। একই সঙ্গে এ বিষয়ে দায়ীদের ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে এ বিষয়ে পাঠানো প্রতিবেদনের ওপর শুনানিকালে দুদক এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ একে অন্যকে এ ঘটনার জন্য দোষারোপ করেছিল।

তখন আইজিপির পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, ‘দুদক থেকে দেওয়া চিঠি বেনাপোল সীমান্তে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ইমেইলে পাঠানো হয়। এই চিঠি পাওয়ার ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ড আগেই বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার। দুদক চিঠি দেওয়ার আগে এরকম জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফোন করতে পারত। কিন্তু তা করেনি। ওভার ফোনে জানালেও ব্যবস্থা নিতে পারত এসবি। আমরা মনে করি, পি কে হালদারের বিষয়ে দুদকের অবহেলা ছিল।’

রাষ্ট্রপক্ষের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে দুদক আইনজীবী বলেছিল, ‘আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পি কে হালদারসহ ২৪ জনের বিষয়ে এসবিকে চিঠি দেওয়া হয়। এসবি সদর দপ্তর চিঠি গ্রহণ করে ২৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায়। এই চিঠি তারা পেয়েছে কি না সেজন্য তা ২৩ অক্টোবর দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শককে (এসবি) হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানানো হয়। এরও প্রায় এক ঘন্টা পর পি কে হালদার বেনাপোল সীমান্ত পার হয়েছে। এখানে দুদকের কোনো অবহেলা নেই।’

সেদিন আদালত দুদক আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘২২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই আপনারা ধরে ফেলতে পারতেন, যদি ইচ্ছে থাকত। কিন্তু আপনারা সেটা করেননি।’

২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর হাইকোর্ট দেশে এতগুলো সংস্থা থাকতে দুর্নীতিবাজরা কীভাবে দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যায়, এমন প্রশ্ন তোলেন। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসি) সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন এমন সংবাদ আদালতের নজরে আনা হলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আদালত দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ‘আসামি দেশ ত্যাগ করে চলে গেল আর আপনারা নীরব দর্শক হয়ে দেখছেন। যেখানে দুদক আছে, বিএফআইইউ আছে, ডিবি আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তার পরও সে কীভাবে পালিয়ে যায়।’ বিচারক বলেন, মামলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আছে, তদন্তও হচ্ছে, তার পরও কীভাবে সে দেশ ত্যাগ করল?’

এ সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ‘ইমিগ্রেশনটা কীভাবে পার হলো এটা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেন। এটা জানা বেশি দরকার। ইমিগ্রেশন বলতে পারবে সাউথ বাংলার চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন কয়টায় গেলেন। বিমানে গেলেন নাকি স্থলপথে গেলেন এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পি কে হালদারের বিচারের আদেশ বিভিন্ন সংস্থার কাছে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লেগেছিল।’

তখন বিচারক বলেছিলেন, ‘এখনকার যুগে কি তিন ঘণ্টা সময় লাগে আদেশ পৌঁছাতে। এটা এক মিনিটের ব্যাপার। কোর্টের আদেশ কমিনিউকেটেড করা এক মিনিটের ব্যাপার। তিন ঘণ্টা লাগবে কেন? কি আর বলব। আমরা হতাশ। এটাতো আপনাদের অবহেলা।’ তখন দুদকের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘এখানে দুদকের কোনো অবহেলা নেই। অবহেলা ছিল পুলিশের।’

এদিকে তিন বছর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বনানী থানার বরখাস্ত করা পরিদর্শক সোহেল রানার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করলে গা ঢাকা দেন সোহেল। মাস খানেক পর তার খোঁজ মেলে ভারতে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। সোহেলও কীভাবে ভারতে পালিয়ে যায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উচ্চ আদালত।

‘সময় পেয়ে পালিয়ে যান বেনজীর’ :

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা প্রায় ৭শ বিঘা জমি, একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া বেনজির, তার স্ত্রী জীসান ও তিন মেয়ের নামে থাকা সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার এফিট আপ্যারেলস লিমিটেডে কোটি কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়। এদিকে সম্পদ জব্দের আগেই গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠায় দুদক। সেই নোটিশে সময় দিয়ে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ৫ জুন বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুন তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু বেনজির আর হাজির হননি। তিনি গত ৪ জুন তার স্ত্রীর চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুর চলে যান বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে।

‘দ্রুত পালিয়েছেন মতিউর’ :

‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচনায় আসা এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে দুদক গত রোববার তার ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরুর জন্য কমিটি গঠন করেছে। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করে। কিন্তু এ আদেশ জারির আগেই স্ত্রী-সন্তানসহ উধাও হয়ে গেছেন মতিউর। এরই মধ্যেই তারা দেশ ছেড়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যশোরে এক দিনে কাঁচা মরিচ কেজিতে বাড়ল ১৭০ টাকা

গাজায় হামলা বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বানের পরই বোমা ফেলল ইসরায়েল

সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে: সালাহউদ্দিন

ক্যারিবীয়দের উড়িয়ে তিন দিনেই ভারতের টেস্ট জয়

ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মিলল ১২ কোটি টাকার সোনা-রুপার মুদ্রা

বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

নুরের দেশে আসার সময় জানালেন রাশেদ

মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তরুণকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

১০ বছর পর রোববার দেশে ফিরছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক রাশেদুল হক

১০

এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা / ৬ দফা দাবিতে ২৪ দিনের কর্মসূচি খেলাফত মজলিসের

১১

রোহিতকে সরিয়ে নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল ভারত

১২

স্ত্রী-শাশুড়ি মিলে যুবককে হত্যাচেষ্টা, ঘরের বারান্দায় খোঁড়া হয়েছিল কবর

১৩

যে ৩ সময়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে বেশি উপকার মিলে

১৪

হরাইজন মডেল ইউনাইটেড নেশনস সেশন-১ : এক অনন্য সফলতা

১৫

ছেলে হত্যার বিচার ঠেকাতে ষড়যন্ত্রমূলক নতুন মামলা, ক্ষোভে শহীদ ছায়াদের পরিবার

১৬

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ মৃত্যু

১৭

সাধারণ যে ৬ ভুলের কারণে পারফিউমের ঘ্রাণ দ্রুত চলে যায়

১৮

বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু

১৯

হবিগঞ্জে নদী থেকে মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

২০
X