ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৯৩ সালে যে অসলো চুক্তি হয়েছিল, তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের পাশে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন। চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিরা রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের স্বীকৃতি মানলেও ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র গঠন আর সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অজুহাত তৈরির পাশাপাশি পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সে প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করতে থাকে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের চেয়ে অসলো চুক্তি থেকে তুলনামূলকভাবে ইসরায়েল অধিকতর সুবিধা তুলে নিতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষত, বিদেশি কোম্পানিগুলো আরব দেশগুলোর সম্ভাব্য বর্জনের ভীতি কাটিয়ে ইসরায়েলে শাখা খুলতে থাকে। এটি অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েলকে এগিয়ে দেয়। ইসরায়েল জর্ডানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের পথ তৈরি হয়। সে তুলনায় ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার বিষয়টি একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ফলে অসলো চুক্তি ফিলিস্তিনিদের জন্য এক ধরনের প্রহসনে রূপ নেয়।