কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, ০৯:১১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আনা ফ্রাঙ্কের জন্মদিন

আনা ফ্রাঙ্কের জন্মদিন

আনা ফ্রাঙ্ক হলোকস্টের শিকার আলোচিত ও প্রখ্যাত ইহুদি কিশোরী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার তার দিনলিপি এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পঠিত ও বিক্রিত বইয়ের তালিকায় অন্যতম স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ১৯৪২ সালে জার্মানির দখলকৃত নেদারল্যান্ডসে এ কিশোরী ও তার পরিবারকে আত্মগোপনের দুই বছর গৃহবন্দি থাকতে হয়। সেই দিনগুলোর ঘটনাই উঠে এসেছে তার ডায়েরিতে। এ ডায়েরিতে আরও উঠে এসেছে হিটলারের পৃথিবীতে ইহুদিদের করুণ পরিণতির কথা। তার পরিবারও হিটলারের গোপন পুলিশ বাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারেনি। ১৯৪৪ সালে তারা ধরা পড়ে। তাদের হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। আনা ফ্রাঙ্কের বাবা ছাড়া আর কেউই বেঁচে ছিলেন না তখন। আনা মারা গেলেও তার ডায়েরি আজ এক অমূল্য ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত বইটি ৭০-এরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

১৯২৯ সালের ১২ জুন আনা ফ্রাঙ্ক জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন বরেণ্য ব্যবসায়ী। কিন্তু মাত্র চার বছর যেতেই তাদের জীবনে নেমে আসে এক অসহনীয় দুর্ভোগ। ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় এসেই ইহুদিদের বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যবস্থা নিতে থাকেন। তাই এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করা ছিল প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। ফলে সে বছরই আনা ফ্রাঙ্কের বাবা অটো ফ্রাঙ্ক নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ব্যবসাপাতি গুটিয়ে চলে যান। এখানে ছোট ব্যবসা হলেও অল্পতে বেশ গুছিয়ে নেন। এ সময়টাতে আনা ফ্রাঙ্ক তার দাদির সঙ্গে জার্মানিতেই ছিলেন। ১৯৩৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনা ফ্রাঙ্ক আমস্টারডামে নিজ পরিবারের সঙ্গে যোগ দেন। ১৯৩৫ সাল থেকে স্কুলে যেতে শুরু করেন। স্বভাবতই তিনি ছিলেন বেশ বুদ্ধিমতী ও চতুর। মেধাবী হিসেবে স্কুলে তার বেশ একটা খ্যাতিও ছিল। কিন্তু তাদের নতুন জীবন খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ১৯৪০ সালের মে মাসে নেদারল্যান্ডস জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে আসে। খুব দ্রুতই হিটলারের বাহিনী জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে, বিশেষত ইহুদিদের ওপর নেমে আসে হিটলারের নারকীয় রোষানল। আনা ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সালের বন্দিজীবনে একঘেয়েমির মধ্যে বেছে নিয়েছিলেন ডায়েরি লেখাকে। তিনি তার লেখায় বেশ পরিপক্বতার পরিচয় দেন; বিশেষত যুদ্ধ, মানবতার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে। ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট একপ্রকার যুদ্ধের শেষপর্যায়ে এসে নাৎসি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। ১৯৪৫ সালের মার্চে আনা ও তার বোন ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যান। এরপর তাদের বিশাল লাশের স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়। বেঁচে ছিলেন শুধু তার বাবা।

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে অটো ফ্রাঙ্ক আমস্টারডামে ফিরে আসেন। এখানে তার কোম্পানির অস্ট্রিয়ান সেক্রেটারি মিপ সেজ তার মেয়ের পাঁচটি নোটবই ও প্রায় এলোমেলো ৩০০-এর অধিক কাগজ হাতে তুলে দেন। অটো ফ্রাঙ্ক যত্নের সঙ্গেই এগুলো সংরক্ষণ করেন। ১৯৪৭ সালে প্রথমবারের মতো ডাচ ভাষায় এটি ‘Rear Annex’ নামে প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৫২ সালে ‘The Diary of a Young Girl’ নামে প্রকাশিত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিপফেকের শিকার মাধবন, হলেন আদালতের দারস্থ

বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা টোলমুক্ত থাকবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা

এআইইউবি-তে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশ্যে বই খুলে পরীক্ষা দিলেন অনার্স শিক্ষার্থীরা, ভিডিও ভাইরাল

শীতে প্রতিদিন গুড় খাচ্ছেন তো!

পুরুষ দ্বৈতের শেষ ষোলোতে বাংলাদেশের রিয়াদুল-তনয়

সড়কে ঝরল দুই বন্ধুর প্রাণ

ভারতে সয়াবিন ও ভুট্টা রপ্তানিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র, শঙ্কায় কৃষকরা

চ্যাটজিপিতে নতুন ফিচার চালু, পাবেন যেসব সুবিধা

পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচ সাংবাদিককে বিএআরএফের সংবর্ধনা

১০

বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে এককভাবে ভোট করার ঘোষণা কর্নেল অলির

১১

নুর ও রাশেদের জন্য যে ২ আসন ছাড়ল বিএনপি

১২

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী গ্রেপ্তার

১৩

অনেকের ভিসা প্রত্যাখ্যান, কারণ জানাল যুক্তরাষ্ট্র

১৪

নাক-ঠোঁট নিয়ে কটু মন্তব্যে ভেঙে পড়েছিলেন মাধুরী

১৫

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ছাড়া কেউ বক্তব্য দেবেন না : সালাহউদ্দিন

১৬

প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলেন ঐশী!

১৭

হঠাৎ পেশি কাঁপছে? কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি

১৮

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল / ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ট্রেজারার অপসারণ এবং চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

১৯

আগামী ৩ দিন কী করবেন তারেক রহমান, জানালেন সালাহউদ্দিন

২০
X