আবেদ খান
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪৮ এএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৭:২৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মাকে আমার এনে দাও

মাকে আমার এনে দাও

মা। ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু কী বিশাল তার ব্যাপ্তি। আকাশের চেয়ে বিশাল তার বিস্তৃতি। এই একটি শব্দের মধ্যেই পাওয়া যায় মানবজাতির উৎসের সন্ধান। শিল্পী নির্মলা মিশ্রের সেই জনপ্রিয় গান—

ও তোতা পাখি রে

শিকল খুলে উড়িয়ে দেবো

মা কে যদি এনে দাও

আমার মা কে যদি এনে দাও

ঘুমিয়ে ছিলাম মায়ের কোলে

কখন যে মা গেলো চলে

সবাই বলে ওই আকাশে

লুকিয়ে আছে খুঁজে নাও

ও তোতা পাখি রে...

প্রতিটি মাতৃহারার অন্তরের হৃদয়-নিঃসৃত হাহাকার এবং ক্রন্দনের ভাষা এক, একই আবেগ, বেদনার সব রংই বোধহয় একই। আবার কিছু কিছু অবয়ব আছে, যেখানে চোখ পড়লেই মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। সেসব মুখ পুরোটাই মমতায় মোড়া। নরম মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে যখন মায়াময় বাক্য নিঃসৃত হয় ওই কণ্ঠ থেকে, তখন মনে হয় পৃথিবীতে এর চাইতে মধুরতম সংগীত বুঝি আর নেই। মা মানেই স্নেহের সুশীতল ছায়া।

আমার এই অনুভূতি হতো বেগম সুফিয়া কামালের ক্ষেত্রেও। আমার মায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। আমার কৈশোর বেলায় বিকেলে খেলতে খেলতে হঠাৎ হঠাৎ ছুটে আসতাম মায়ের ঘরে। দেখতাম মা তার ঘরে খাটের ওপর বসে হয় কিছু সেলাই করছেন কিংবা কারও সঙ্গে গল্প করছেন। মাঝেমধ্যে বেগম সুফিয়া কামাল আসতেন মায়ের সঙ্গে গল্প করার জন্য। দুজনের চেহারা ও গড়নে অদ্ভুত সাদৃশ্য! আমি দুয়েকবার ভুল কোলে মাথা রেখে একই মমতামাখা স্পর্শ অনুভব করেছি। অনেক পরে মাতৃস্নেহ কিঞ্চিৎ পেয়েছিলাম শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কাছ থেকে। তবে তা স্বল্প সময়ের জন্য। কারণ, যখন তার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়, তখন তিনি শহীদ জননী হিসেবে অগণিত সন্তানের মা।

এবার আর এক মায়ের কথা বলি।

তাকে দেখেছিলাম সেই ষাটের দশকে। সময়টা বোধহয় চৌষট্টি-পঁয়ষট্টি সালের দিকে। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্তৃপক্ষ প্রেরিত একটি চিঠিতে আমাদের পরিবারকে জানানো হলো, একটা নির্দিষ্ট তারিখে নির্ধারিত কয়েকজনকে বিকেলের দিকে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে যেতে হবে আমার মেজো ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক সাক্ষাতের জন্য এবং সেখানে কোনোরকম রাজনৈতিক আলোচনা বা কোনো তথ্য আদান-প্রদান করার ব্যাপারেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হলো। নির্ধারিত সময়েই আমরা কয়েকজন উপস্থিত হলাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্দিষ্ট দর্শনার্থী কক্ষে। ওই কক্ষের আরেক প্রান্তে বসে আছেন এক ভদ্রমহিলা, সঙ্গে তার সন্তানরা। তার চেহারার দিকে চোখ পড়তেই এক উজ্জ্বল মাতৃরূপ মনটাকে ছুঁয়ে গেল। তিনি এক বিখ্যাত রাজবন্দির স্ত্রী। আমার মাকে মাথা ঝুঁকিয়ে সালাম দিলেন ভদ্রমহিলা। আমার মাও অস্ফুট কণ্ঠে প্রত্যুত্তর দিলেন, আমরাও তাকে সালাম দিলাম। তিনি স্নেহার্দ্র কণ্ঠে আমাদের সালামের উত্তর দিলেন। মায়ের সঙ্গে সামান্য কিছু কথাবার্তাও বোধহয় হয়েছিল। কিছু পরেই পাহারাদারদের মধ্যে একরকম চাঞ্চল্য লক্ষ করা গেল এবং আমাদের ওপরে নির্দেশ জারি হলো, আমরা যেন বেশি উচ্ছ্বাস না দেখাই। এলেন রাজবন্দিদ্বয়। মুজিব ভাই এবং আমার ভাই মন্টু খান। দুজনের পরনে একই ধরনের পোশাক, একই রকমের চুল আঁচড়ানো, দুজনেরই ভারী গোঁফ, আদলও কাছাকাছি, শুধু মুজিব ভাই অনেক দীর্ঘদেহী সুপুরুষ এবং প্রাণবন্ত। সেই তুলনায় আমার মেজো ভাই একটু খাটো। অবশ্য মন্টু খান তার লিডারের একনিষ্ঠ সেবক ও শিষ্য। অদ্ভুত মিল দুজনের। এ বিষয় নিয়ে অন্য কখনো কথা বলা যাবে। একটু পরে ভাবির সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মুজিব ভাই নিজেই। সেই অবরুদ্ধ সময়ে দর্শনার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট প্রায়ান্ধকার প্রকোষ্ঠটিতে মাতৃময়ী এক হৃদয়ের উত্তাপ অনুভব করেছিলাম স্বল্প পরিচয়েই।

শুরুতেই বলেছিলাম কিছু কিছু মুখ আছে যার দিকে চোখ গেলেই মায়ের কথা মনে হয়। সেই রকম একটি মুখ দেখেছিলাম ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। সেই মুখ জননীর মুখ, মর্যাদাসম্পন্ন গৃহবধূর মুখ, দায়িত্ববান গৃহবধূর মুখ, পরিপূর্ণ গৃহিণীর মুখ, একজন যোগ্য সহধর্মিণীর মুখ, সর্বংসহা নারী শক্তির মুখ, ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ উপন্যাসের মুখ।

তাকে সাকল্যে দেখেছি তিনবার। প্রথমবার সেই কারাগারের দর্শনার্থীর কক্ষে, দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। ৩২ নম্বরে একদিন হঠাৎ দেখা হওয়ায় সালাম দিয়ে চলে এসেছিলাম। আরেকবার বোধহয় আমাকে এবং আমার মেজোভাইকে দুপুরে কিছু খেয়ে আসতে হয়েছিল। তাকে শেষবার দেখার সময়ও সম্বোধন ভাবি ছাড়া অন্য কিছু মুখ দিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে তিনি তার কর্মগুণে সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে স্নেহময়ী জননী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

তাকে গভীরভাবে জেনেছি যখন, তখন আর তাকে ফিরে পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। তবে তার কথা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ বিভিন্ন অংশে বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব জবানিতেই : “রেণু কয়েকদিন আমাকে খুব সেবা করলো। যদিও আমাদের বিবাহ হয়েছে ছোট বেলায়। ১৯৪২ সালে আমাদের ফুলশয্যা হয়। জ্বর একটু ভালো হল।” (পৃষ্ঠা : ২১, অসমাপ্ত আত্মজীবনী) কতখানি অনুভূতি, আস্থা, ভালোবাসা এবং আকর্ষণ থাকলে এভাবে নিবেদিত হওয়া যায়, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বিভিন্ন অংশে রয়েছে এর প্রমাণ।

এ তো একতরফা ব্যাপার ছিল না কখনো। তিনি লিখেছেন, “…ভাবলাম কিছুদিন লেখা-পড়া করব। মাহিনা বাকি পড়েছিলো, টাকা পয়সার অভাবে। এত টাকা বাড়ি না গেলে আব্বার কাছ থেকে পাওয়া যাবে না। এক বৎসর মাহিনা দেই নাই। কাপড়-জামাও নতুন করে বানাতে হবে। প্রায় সকল কাপড়ই চুরি হয়ে গেছে। বাড়িতে এসে রেণুর কাছে আমার অবস্থার কথা প্রথমে জানালাম। দিল্লি ও আগ্রা থেকে রেণুকে চিঠি দিয়েছিলাম…। টাকা দিয়ে আব্বা বললেন, ‘কোন কিছুই শুনতে চাইনা। বি.এ পাশ ভালভাবে করতে হবে…।’ আব্বা, মা, ভাই-বোনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রেণুর ঘরে এলাম বিদায় নিতে। দেখি কিছু টাকা হাতে করে দাঁড়িয়ে আছে। ‘অমঙ্গল অশ্রুজল’ বোধহয় অনেক কষ্টে বন্ধ করে রেখেছে। বলল, ‘একবার কলকাতা গেলে আর আসতে চাও না। এবার কলেজ ছুটি হলেই বাড়ি এসো।’ (পৃষ্ঠা : ৬১, অসমাপ্ত আত্মজীবনী)।

এ দুই মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্কের গভীরতা যে কতখানি ছিল, তা পরিমাপ করা দুঃসাধ্য এই ক্ষুদ্র পরিসরে। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার চিন্তাভাবনা, সময়োপযোগী পরামর্শ, ত্যাগ এবং চাহিদাবিহীন নির্লোভ চরিত্র পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করা, সন্তানদের লেখাপড়ার দিকে যত্নবান হওয়া, সততা, মানবিকতা এবং সৌজন্য প্রকাশে ন্যূনতম বিচ্যুতির ব্যাপারে সন্তানদের সতর্ক রাখার পাশাপাশি রাজনীতি এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত থাকা এমন নিঃশব্দ মহীয়সী নারী যথার্থই বিরল।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মমিনুল হক খোকা একটি অসাধারণ গ্রন্থ রচনা করেন। গ্রন্থটির নাম ‘অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল : বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আমি’। তার লেখা গ্রন্থটির একটি অংশ এখানে তুলে ধরি, যা থেকে পাঠক সম্যকভাবে অনুভব করতে পারবেন এই ইতিহাস সৃষ্ট দম্পতির মধ্যে বন্ধন কতখানি অচ্ছেদ্য ছিল। “…হঠাৎ একদিন মিঞা ভাইএর (খোকা ভাই বঙ্গবন্ধুকে এই নামে ডাকতেন) কাছে এলো ভাবীর কাছ থেকে চিঠি। সে চিঠিতে কী লেখা ছিল আমি জানি না। কিন্তু কিছু পরেই তিনি আমাকে বললেন, ‘খোকা তুই যা, তোর ভাবীকে নিয়ে আয় বাড়ি থেকে।’ আমি তখন বি.জি প্রেসের কন্ট্রাক্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। যাহোক, মিঞা ভাইএর নির্দেশে টুঙ্গীপাড়া রওনা হলাম। টুঙ্গীপাড়া যেতে পাড়ি দিতে হলো কষ্টকর পথ। কিন্তু পৌঁছে নিরাশ হতে হলো। ভাবীকে নেওয়ার কথা শুনে মামা রেগে উঠে বললেন, ‘ওর নিজেরই কোনো স্থিতি নেই, এখন এ অবস্থায় রেণুকে (ভাবীর ডাক নাম রেণু) পাঠানো যাবে না, তুই ফিরে যা।’ ফিরে এলাম ব্যর্থ মনোরথ হয়ে। মিঞা ভাই সব কিছু শুনে কিছুই বললেন না, কেবল গুম হয়ে বসে রইলেন। কিছুদিন পরে হঠাৎ দেখি মিঞা ভাই নাই। কাউকে কিছু বলেও যাননি। কোন রাজনৈতিক কাজে গেলে উনি বলে যেতেন। আমাদের জন্য আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো। হঠাৎ একদিন উপস্থিত হলেন, সঙ্গে ভাবী। আমরা তো সবাই হতবাক! এত ছোট বাসা এখানে ভাবীকে নিয়ে থাকা কষ্টকর। যাহোক, ভাবীকে নিয়ে রইলাম সবাই। মিঞা ভাই আবার ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ নিয়ে।” (উদ্ধৃত অংশের বানান অবিকৃত রাখা হয়েছে)

মমিনুল হক খোকার স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থটির বিভিন্ন পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে তার ভাবির স্নেহময় ঘটনার বর্ণনা। ঢাকায় আসার পর বাসস্থান অনিশ্চিত, কখনো এই এলাকায়, কখনো অন্য এলাকায় বাস। গোয়েন্দাদের নিয়মিত উৎপাত, কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই, তবুও তিনি কোনো অনুযোগ না করে নীরবে এবং হাসিমুখে সব কষ্ট, সব অভাব সহ্য করেছেন বছরের পর বছর। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর এক জায়গায় বললেন, “… মন চলে গেছে বাড়িতে। কয়েক মাস পূর্বে আমার বড় ছেলে কামালের জন্ম হয়েছে, ভালো করে দেখতেও পারি নাই ওকে। হাসিনা তো আমাকে পেলে ছাড়তেই চায় না। অনুভব করতে লাগলাম যে, আমি ছেলে মেয়ের পিতা হয়েছি। আমার আব্বা ও মাকে দেখতে মন চাইছে। তারা জানেন লাহোর থেকে ফিরে নিশ্চয় একবার বাড়িতে আসবো। রেণু তো নিশ্চয়ই পথ চেয়ে বসে আছে। সে তো নীরবে সকল কষ্ট সহ্য করে, কিন্তু কিছু বলে না। কিছু বলে না বা বলতে চায় না, সে জন্য আমার আরও বেশি ব্যথা লাগে।” (পৃষ্ঠা : ১৪৬; অসমাপ্ত আত্মজীবনী)

যে মহীয়সী নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না, সেই তিনি দশভূজার মতো সামলিয়েছেন ঘর-সংসার-আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দেখাশোনা করেছেন, আবার নজর রেখেছেন সন্তানদের লেখাপড়া চাহিদা-প্রয়োজনের প্রতি, শিক্ষা দিয়েছেন বিভিন্নভাবে নিজেকে বিকশিত হওয়ার আর দীক্ষা দিয়েছেন সাধারণ মানুষের জীবন সংগ্রামকে অনুভব করার। আবার দেশ ও জাতির প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে ঋজুতার সঙ্গে সবাইকে সাহস জুগিয়েছেন, প্রেরণা দিয়েছেন তার রাজনীতিনিমগ্ন স্বামীকে, পরামর্শ দিয়েছেন নির্ভয়ে পথচলার। যেমনটি আমরা দেখি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আগে বিভিন্নজন নানাভাবে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিচ্ছিল যখন, তখন বেগম মুজিব তাকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন তিনি যেন সেটাই বলেন যা তার মনে, আদর্শে ধারণ করেন এবং যা বললে আপামর মানুষের মুক্তির পথ সুগম হয়। আবার আইয়ুব খানের কারাগারে অন্তরীণ থাকাকালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন, তখনো বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার প্রেরণাদায়ক ও আপসহীন বার্তা আমরা লক্ষ করি। তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যেন কোনো প্রকারের আপস সেখানে করা না হয়। যদিও বঙ্গবন্ধু সেটা কখনোই করতেন না, তবুও তার শক্তি, প্রেরণার বড় জায়গাটি ছিলেন এ মহীয়সী নারীই। আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে তার জননী প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার বলেছেন, এই মহীয়সী নারী পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুকে পরিপূর্ণ করেছেন।

তাকে নিয়ে অনেক কথা লেখা যায়। শিশুকালে যাকে স্বামী হিসেবে জেনেছিলেন, মেনেছিলেন, জীবনের শেষ মুহূর্তেও সহমরণ বরণের মধ্য দিয়ে এই পতিব্রতা নারী প্রমাণ করেছেন, হৃদয়ে বন্ধন যখন নীতি ও আদর্শের বন্ধনে পরিণত হয়, তখন সেই বন্ধন কখনো মৃত্যুর হিংস্র ভ্রুকুটিতেও পরাভূত হয় না।

লেখক : প্রধান সম্পাদক, দৈনিক কালবেলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুচ্ছের সি ইউনিটের পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়বে ১১ জন

হাজার কোটি টাকায় বদলে যাচ্ছে লর্ডস

শপথ নিয়েই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন পুতিন

চাঁদ দেখা গেছে, আজ থেকে জিলকদ মাস শুরু

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন

প্রধান শিক্ষকের গলা টিপে হত্যার হুমকি

চলে যাচ্ছেন পিটার হাস, আসছেন নতুন রাষ্ট্রদূত

১০ মে : নামাজের সময়সূচি

তিতাস গ্যাসের সতর্কবার্তা

টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

১০

আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?

১১

ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১২

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৩

অর্ধযুগে পা রাখল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব

১৪

বগুড়ায় স্বর্ণ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

১৫

শিশু অপহরণকারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

১৬

চুরি যাওয়া জিনিস প্রধান শিক্ষককে কিনে দিতে বললেন শিক্ষা অফিসার

১৭

মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পাইলট অসিম জাওয়াদ

১৮

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ৫

১৯

তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়বেন স্বামী-স্ত্রী

২০
X