ফাওয়াজ গার্জেজ
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ইরান হবে ইরাক যুদ্ধে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি

যুদ্ধ
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করা হয়। দেশটিকে দখলে নেওয়ার জন্য সংঘটিত হয় যুদ্ধ। সে যুদ্ধ ছিল মূলত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সম্পূর্ণ অবৈধ। বর্তমানে চলমান ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধও ঠিক একইভাবে আইনসম্মত বা বৈধ নয়। এমন কোনো পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি হয়নি, যার কারণে এ যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। তবুও ইচ্ছাকৃতভাবে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। আর যুক্তরাষ্ট্র বা তার ইউরোপীয় মিত্ররা, বিশেষত যুক্তরাজ্য, যদি এই যুদ্ধে অংশ নেয়, তবে আরেকটি ভয়াবহ, অবৈধ যুদ্ধ সংঘটিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে তারা জড়িয়ে পড়বে এ সংঘাতে।

এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তবে সেটা হবে আবারও আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। একসময় যেই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যবস্থার রূপকার ও আন্তর্জাতিক আইনের রক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিল, সে দেশই বর্তমানে অন্যতম প্রধান আইন লঙ্ঘনকারী দেশ হয়ে উঠেছে। গাজায় অবরোধ ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পূর্ণভাবে তার কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিচ্ছেন। ‘অসাধারণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে। তিনি ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ দাবি করেছেন। বিবেচনা করছেন বর্তমানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার কথা। স্পষ্টতই এটা জেনেভা কনভেনশনের অতিরিক্ত প্রটোকলের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কারণ এর ফলে পারমাণবিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হবে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অসংখ্য মানুষ।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সরকারকে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল সতর্ক করে বলেছেন যে, আত্মরক্ষার বাইরে এই যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের যে কোনো ধরনের সামরিক সম্পৃক্ততা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। শীর্ষ সরকারি আইন উপদেষ্টা রিচার্ড হারমারও বোমাবর্ষণ অভিযানে যুক্ত হওয়ার আইনি বৈধতা নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের আগাম হামলার যৌক্তিকতা এবং ওয়াশিংটন ডিসির নীরব সহযোগিতা এক ভীতিকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। তাদের প্রধান দাবি হলো, ইরান দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে তাদের ইউরেনিয়ামকে ‘অস্ত্রায়ণ’ করার পথে। তেহরান শিগগির সক্ষম হবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে। নেতানিয়াহু বারবার এই দোহাই দিয়ে ইরানের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। কিন্তু তার এমন বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল না; বরং এ ধরনের সক্ষমতা অর্জন করতে তাদের অন্তত আরও তিন বছর লাগবে। এমনকি ইরান পারমাণবিক সীমারেখা অতিক্রমের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে যে দাবি ইসরায়েল করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।

ট্রাম্পের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড মার্চ মাসে কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন, ইরান কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিই অনুমোদন দেননি এমন কোনো কর্মসূচির। এই কর্মসূচি ২০০৩ সালেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে ইরান যদি সত্যিই পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়, তার পরও তার ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ করা এবং তার কর্মসূচিকে ধ্বংস করার অধিকার আন্তর্জাতিক আইন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলকে দেয় না। জাতিসংঘ সনদ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের বিধানে বিষয়টি স্পষ্ট।

কিন্তু এই বাস্তবতা সামনে আসার পরও ট্রাম্প সেই গোয়েন্দা রিপোর্টকে অগ্রাহ্য করছেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘ওরা কী বলেছে আমি সেটাকে পাত্তা দিচ্ছি না। আমি মনে করি, ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।’ নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বক্তব্য আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর প্রতিবেদনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি গত ১৭ জুন বলেছেন, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে—এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’ এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং ভবিষ্যতের সংঘাতগুলোকে আরও অপ্রত্যাশিত ও বিপজ্জনক করে তুলবে। আজ নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আগাম হামলা চালাচ্ছে, কাল অন্য কোনো শক্তিধর রাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তার বাস্তব বা কাল্পনিক হুমকির অজুহাতে আগাম হামলা চালিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে তাদেরকেই উদাহরণ ব্যবহার করতে পারে। যেমন, চীন একই যুক্তি তুলে ধরে দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে।

ইরাক যুদ্ধের পরিণতি স্মরণ করে আমাদের উচিত শঙ্কিত হওয়া। তখনো যুদ্ধের যৌক্তিকতা বিক্রি করা হয় সাজানো গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। বুশ প্রশাসনের মধ্যে যারা ইরাক আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সাদ্দাম হোসেনের ‘গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের মজুত’ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তার যোগসাজশের ভিত্তিহীন দাবিকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাদের প্রবল সমর্থন দিয়েছিলেন এবং নিজেকে সে সময়কার নব্য-রক্ষণশীল আন্দোলনের মিত্র হিসেবে জাহির করেছিলেন। ইরাকের কাছে জৈবিক অস্ত্রের বিশাল মজুত আছে বলে জর্জ ডব্লিউ বুশ দাবি করেছিলেন এবং তার ভিত্তিতেই তিনি সেই যুদ্ধের যৌক্তিকতাকে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সিআইএ যখন জানায় যে, তাদের কাছে সেই অস্ত্রের ধরন বা পরিমাণ সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই, তখন বুশ আবারও বলেছিলেন, ‘ইরাকের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রও থাকতে পারে।’ নিজের গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যকে অস্বীকার করে যুদ্ধে যান তিনি। যদিও সত্য সম্পর্কে তিনি স্পষ্টই অবগত ছিলেন, তথাপি মিথ্যা তথ্যকে কাজে লাগাতে কোনো সংকোচ বোধ করেননি।

ট্রাম্প নিজেই একসময় বুশের সেই ছলচাতুরিকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘ইরাককে আক্রমণ করা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যে কোনো প্রেসিডেন্টের নেওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। কোনো গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ইরাকের কাছে ছিল না, এ ব্যাপারে বুশ প্রশাসন অবগত ছিল।’ অথচ আজ ট্রাম্প যেন বুশের সেই পুরোনো পথেই পা বাড়াচ্ছেন।

যদিও ইরানের ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থল আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই, তবু তেহরানের ওপর যে কোনো ধরনের হামলা সহজেই এক পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। ইরান বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়ে আক্রমণ চালালে ইরাক, বাহরাইন ও উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে পালটা আক্রমণ চালাবে তারা। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পরিকল্পনা সহজেই উত্তেজনা বৃদ্ধি করে হামলা-পাল্টা হামলার এক দুঃসহ চক্র শুরু করে দিতে পারে।

অন্যদিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের অতিগুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালিতে ইরান সামুদ্রিক মাইন স্থাপন করতে পারে। এর প্রভাব শুধু আঞ্চলিক নয়, প্রতিধ্বনিত হবে বিশ্বজুড়ে। এমন পদক্ষেপ জ্বালানিবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে; এক অপ্রতিরোধ্য চক্র শুরু করবে মূল্যস্ফীতির; ক্ষুণ্ণ করবে মার্কিন ডলারের প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থাকে। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে যুগপৎ ফাঁদে ফেলে দেবে মন্দা ও মূল্যস্ফীতির। এমন ঘটনাকে অর্থনীতিবিদরা চিহ্নিত করে থাকেন ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ নামে।

আবার ইয়েমেনের হুতিদের সামরিক সক্ষমতা ইরানের তুলনায় নগণ্য হলেও তারা এরই মধ্যে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে চরম ব্যাঘাত ঘটাতে এবং পশ্চিমা বাণিজ্যে বড় রকমের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, তবে ইরান বৈশ্বিক বাণিজ্যপথগুলো কার্যত করে তুলতে পারে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। এমনটা ঘটলে জ্বালানি তেলের দাম হয়ে যাবে গগনচুম্বী।

কাজেই যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তবে সেটা ভয়াবহভাবে তৈরি করবে উল্টো প্রতিক্রিয়া। এমনকি সেটা ইরানি শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করার বদলে বরং করে তুলতে পারে আরও শক্তিশালী। এমনটা ঘটলে ইরানের শাসক শ্রেণি পারমাণবিক বোমা নির্মাণের দিকে দ্রুত অগ্রসর হবে এবং তার যৌক্তিকতা হিসেবে চিহ্নিত করবে ইসরায়েলের আক্রমণ ও ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের অপচেষ্টাকে। এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মনে রাখা উচিত যে, টনি ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে ব্রিটেনকে ইরাক যুদ্ধের অন্ধকার অধ্যায়ে টেনে নিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যের বর্তমান অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা ও জনমত বিবেচনা করলে, স্টারমারের পক্ষে এরকম ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফল ভালো হবে না মোটেই।

চলমান এ যুদ্ধ একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ইসরায়েলের ইচ্ছায় সংঘটিত একটি যুদ্ধ, যা পরিচালিত হচ্ছে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার ওপর ভিত্তি করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যদি ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে গিয়ে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়, তবে তারা ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের ভয়াবহ ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তিই ঘটাবে।

লেখক: লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক, ‘দ্য গ্রেট বিট্রেয়াল’ গ্রন্থের লেখক এবং মধ্যপ্রাচ্যের গণতন্ত্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। নিবন্ধটি ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে শিল্পী সম্মিলন ও আর্ট ক্যাম্পে মিলন মেলা

যে কারণে এশিয়া কাপ দলে সোহান-সাইফ, জানালেন প্রধান নির্বাচক

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে, জানালেন প্রশাসক

ভারতে মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়

‘নির্বাচনে কাজ করবে সাড়ে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি’

কারাগারে গোয়েন্দা সংস্থার ভুয়া সদস্য আটক

মেহেদী হত্যা মামলায় কারাগারে আনিসুল-মেনন 

১৯ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘যারা বলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করে’

চোখ পিটপিট বেশি করে ছেলেরা নাকি মেয়েরা? 

১০

এশিয়া কাপের আগে ভারত শিবিরে আরও দুঃসংবাদ

১১

সৈকতে ভেসে এলো বিরল প্রজাতির পাইন্না সাপ

১২

অজ্ঞাত একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছে ইরান

১৩

আকিজ বশির গ্রুপে চাকরি, বেতন ছাড়া পাবেন আরও বিভিন্ন সুবিধা

১৪

দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে

১৫

৪ মাস পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু

১৬

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময় জানাল এনসিটিবি

১৭

রিমান্ডের পর হাসপাতালে ভর্তি সাবেক প্রেসিডেন্ট

১৮

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : ইলিয়াসপত্নী লুনা

১৯

ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা জুলুম : বায়তুল মোকাররমের খতিব

২০
X