বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এক নতুন রাজনৈতিক বাঁকবদলের নাম। শুধু রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়, বরং দীর্ঘদিনের জমে থাকা জনবিক্ষোভের এক বিস্ফোরণ। স্বৈরশাসন, দমনপীড়ন, সাংবিধানিক ছলচাতুরী ও ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ জ্বলে উঠেছিল, তা নিঃসন্দেহে গণমানসে এক ঐতিহাসিক দাবি হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এ অভ্যুত্থানের ভেতরে যে রাজনৈতিক স্রোত কাজ করেছে, তার মূল সঞ্চালক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বিএনপি ছিল সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাতিলের পর থেকে দেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ভারসাম্য ফেরাতে একটানা সংগ্রাম করে এসেছে। একদিকে পুলিশি হয়রানি, গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড; অন্যদিকে সাংবিধানিক বৈধতার নামে একদলীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার নীলনকশা—এ দুয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বিএনপি ছিল সেই বিরল দল, যারা দমে যায়নি, ভেঙে পড়েনি, বরং রাজপথে থেকেছে, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল নেতৃত্ব প্রদান করেছে।
চব্বিশের অভ্যুত্থান এ দীর্ঘ সংগ্রামেরই পরিণতি। কিন্তু এখানে একটি ভুল ধারণা ক্রমেই সামাজিক মাধ্যমে চালু হয়েছে—এ আন্দোলন শুধু ছাত্র ও তরুণদের। বাস্তবে, ছাত্রদের দৃশ্যমানতা থাকলেও আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, কাঠামো, আদর্শিক অনুপ্রেরণা, দৃঢ়তা এবং সাংগঠনিক পরিকাঠামো সবই তৈরি করেছে বিএনপি। একে বলা যায়, রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও তরুণ সমাজের আত্মজাগরণের যুগলবন্দি, যার প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি।
তারেক রহমান নিজে নির্বাসিত জীবনযাপন করলেও, তিনি ছিলেন এ আন্দোলনের প্রধান নেপথ্য নায়ক। দেশের বাইরে থেকেও তিনি রাজনৈতিক নির্দেশনা, নৈতিক অনুপ্রেরণা এবং সংগঠন পরিচালনায় সক্রিয় থেকেছেন। তার বক্তব্য, ‘গণতন্ত্র ছিনিয়ে নিতে হয়, পাওয়া যায় না’—এ মূলমন্ত্রই আজকের তরুণ সমাজকে উজ্জীবিত করেছে। যেসব ছাত্রনেতা রাজপথে শহীদ হয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা প্রায় সবাই সরাসরি বা পরোক্ষভাবে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা এ আন্দোলনে রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, আটক হয়েছে, জীবন দিয়েছে। এ আত্মত্যাগের ভিত্তিতেই আন্দোলন পেয়েছে মাটির স্পর্শ, গণআকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা। যারা রাজনীতিকে শুধুই চেহারা দেখার বস্তু ভাবেন, তাদের জন্য বিষয়টি হয়তো অনুধাবন করা কঠিন, কিন্তু ইতিহাস জানে—কোন দল কখন, কোথায়, কীভাবে দাঁড়িয়েছে।
একটি বাস্তবচিত্র তুলে ধরা যাক। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, যখন সরকারবিরোধী আন্দোলন দমন করতে ষড়যন্ত্র সাজাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় বিএনপির বিভিন্ন জেলা-উপজেলা কমিটি নির্ভয়ে রাজপথে অবস্থান নিল। বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, নোয়াখালী, বগুড়া—সবখানেই বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো তরুণদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, তারা আন্দোলনের রসদ, পরিকল্পনা ও মিছিলের সুরক্ষা পর্যন্ত নিশ্চিত করেছিল।
বিএনপির এ ভূমিকা অনেক সময়ই অদৃশ্য থেকেছে গণমাধ্যমে। কারণ, গণমাধ্যমের একটা বড় অংশ দলীয় প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণে ছিল, যারা ‘তৃতীয় শক্তি’ বা ‘অরাজনৈতিক তরুণদের’ নামে আন্দোলনকে depoliticize করতে চেয়েছে। এই বিরাজনীতিকরণের পেছনে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র—বিএনপিকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে একটি নেতৃত্বহীন, লক্ষ্যহীন প্রতিবাদের বুদ্বুদ তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে তা সফল হয়নি। জনগণ এবং তরুণরা ঠিকই বুঝে নিয়েছে—কারা তাদের পাশে থেকেছে, কারা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তনের জন্য লড়ছে।
এই অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতনের বা পরিবর্তনের দাবি ছিল না, এটি ছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলতার পুনরুদ্ধারের ডাক। বিএনপি এ ডাককে সংগঠিত করেছে, ভাষা দিয়েছে, কাঠামো দিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব কী হতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করেছে এই দলটি। আর তারেক রহমান ছিলেন সেই রাজনৈতিক নায়ক, যিনি সর্বতোভাবে দেশে না থেকেও রাজনীতিকে প্রাসঙ্গিক রেখেছেন।
একটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা জরুরি, চব্বিশের অভ্যুত্থানে বিএনপি কোনো মুহূর্তে আন্দোলনের মালিকানা দাবি করেনি। বরং, দলটি সবসময় বলেছে—এটি জনগণের আন্দোলন, ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন, সবার আন্দোলন। এই রাজনৈতিক নম্রতা, এই নেতৃত্বের ঔদার্যও বিএনপিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। কারণ, বিএনপি জানে এ আন্দোলন একক কোনো গোষ্ঠীর নয়, এটি জাতির মুক্তির আন্দোলন। কিন্তু এর পেছনে যে দীর্ঘ সংগ্রাম, সহিংসতার মুখে নত না হওয়া মনোবল এবং সংগঠন চালু রাখার নীরব লড়াই; তা ছিল শুধুই বিএনপির।
রাজনৈতিকভাবে বলতে গেলে, বিএনপি ২০২৪ সালে একটি ট্রান্সিশনাল দল থেকে ট্রান্সফরমেটিভ দলে রূপ নিয়েছে। এটি শুধু এক রাজনৈতিক দলের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ নয়, বরং রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তনের রূপরেখা উপস্থাপনকারী একটি আদর্শিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের আগে যেসব দিকনির্দেশনা ও রূপরেখা তারা দিয়েছে—যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সাংবিধানিক সংস্কার, ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা; এসবই আন্দোলনের দর্শনে রূপ নিয়েছে।
স্মরণ করা দরকার, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একসময় বলেছিলেন, ‘রাজনীতি হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম।’ তারই উত্তরসূরি হিসেবে বিএনপি এই ভূমিকা পালন করেছে। ক্ষমতার মোহ নয়, বরং আদর্শিক ভিত্তিতে দলটি আন্দোলনে অবিচল থেকেছে। আন্দোলনের সর্বশেষ পর্বে, যখন রাজপথে ছিল গুলির শব্দ, আওয়ামী পেটোয়া বাহিনীর হামলা এবং মৃত্যুর ছায়া, তখনো বিএনপি একটি সুসংগঠিত দল হিসেবে, কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি।
তরুণ প্রজন্ম আজ যেটিকে গণঅভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা বাস্তবে ছিল এক দীর্ঘ প্রতিরোধ-যুদ্ধের চূড়ান্ত ধাপ। এই প্রতিরোধ-যুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বিএনপি। সহিংস দমনপীড়নের মধ্যেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিরোধের প্রতীক বিএনপি। আর তারেক রহমান ছিলেন সেই প্রতীকী নেতৃত্ব, যিনি প্রজন্মকে রাজনীতির প্রকৃত অর্থ শিখিয়েছেন—সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব।
বিএনপির রাজপথে ফেরার ইতিহাসও এ আন্দোলনের পটভূমি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, হাজারো গুম-খুন, দলীয় কর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা বিএনপিকে অনেকটা কোণঠাসা করে রেখেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। যার ধারাবাহিকতায় বিএনপি একটি সমন্বিত আন্দোলনের কৌশল গ্রহণ করে। তারা একদিকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা প্রচার করে; অন্যদিকে ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনকে সরাসরি রাজপথে সক্রিয় করে তোলে।
দীর্ঘ দেড় যুগের রাজনৈতিক নিপীড়ন, যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা ও কারাবরণসহ নানা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। দলটির সূত্রমতে, গত ১৭ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মামলা, অভিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীকে। এই সময়টিতে ১ হাজার ৫৫১ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং ১ হাজার ২০৪ জন গুম হন, যার মধ্যে বিএনপিরই ৪২৩ জন। এমন অবস্থা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভেঙে ফেলার একটি পরিকল্পিত প্রয়াস।
বিএনপি নেতাকর্মীরা শুধু রাজনৈতিক প্রণোদনায় নয়, বরং আদর্শিক দায়বদ্ধতা থেকে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। ঢাকার আন্দোলন থেকে শুরু করে রংপুর, চট্টগ্রাম, যশোর, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনাসহ সব জায়গায় ছাত্রদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, যুবদল, মহিলা দলসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে। শতাধিক নেতাকর্মী গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারান, বহু কর্মীকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলা হয়, হাজার হাজার কর্মীকে কারাবন্দি করা হয়।
এই আন্দোলনে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ, ছাত্রদলের নেতা ওয়াসিম আকরাম, মীর মুগ্ধ, ইরফান ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির, আরিফুর রহমান রাসেল, আসিফ হোসেন, সাকিবুল হাসান মাহিসহ বহু তরুণ। শুধু ছাত্রদল থেকেই নিহত হন ১১৩ জন। এই আত্মত্যাগ ছিল একটি লক্ষ্যভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলনের দৃশ্যমান রূপ, যা বিএনপির দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এক অজেয় বলয়ে পরিণত হয়েছিল।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় দৃষ্টান্ত। এই আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বিএনপিসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ। বামপন্থি নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, নারী, প্রবাসী—সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দাঁড়ায়। গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে, রাষ্ট্রক্ষমতা, দমনপীড়ন বা প্রচারযন্ত্রের ওপর নির্ভর করে চিরকাল জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে রুদ্ধ করতে পারে না।
তবে এই অভ্যুত্থান তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন এর বাস্তব ফসল হিসেবে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার গঠিত হবে। নতুবা, এটি একটি সরকার পরিবর্তনের নাট্যরূপে ইতিহাসে ঠাঁই পাবে, যার ভেতরে থাকবে বঞ্চনার দীর্ঘশ্বাস, ত্যাগের ব্যর্থতা এবং ইতিহাসের প্রতারণা।
গণঅভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও তার কাঠামো ও নীতি কাঙ্ক্ষিত গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার একটি অংশগ্রহণমূলক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং ‘এলিট কেন্দ্রিক’ হয়ে ওঠে। ছাত্রনেতা ও এনজিও প্রতিনিধিদের আধিপত্যে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা খর্ব হয়। জাতীয় ঐক্য গঠনের পরিবর্তে দেখা দেয় বিভাজন ও দ্ব্যর্থতা।
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকারের ভঙ্গুরতা ও সিদ্ধান্তহীনতা এই দুর্বলতাকে আরও প্রকট করে তোলে। সংস্কারের ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে তা ‘টিক দেওয়ার নীতিপত্রে’ রূপ নেয়, যা গণতন্ত্রের মূল স্পিরিটকে অস্বীকার করে। জনগণ উপলব্ধি করতে শুরু করে, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলেও, কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া তাতে মৌলিক পরিবর্তন আসে না। আর এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন—জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
এ বাস্তবতায় বিএনপির আহ্বান ছিল স্পষ্ট—নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তারেক রহমান একাধিকবার বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।’ বিএনপির মতে, বৈধ ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত হয় না। গণঅভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে, জনগণই গণতন্ত্রের প্রধান চালিকাশক্তি। কিন্তু আন্দোলনের ফসল যদি জনগণের হাতে না আসে, যদি শাসন কাঠামোতে তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকে—তবে সেই আন্দোলন নিছক একটি পরিবর্তনের নামান্তর হয়ে থাকবে। তাই এখন সময় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার এবং একটি জবাবদিহিমূলক, কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য সরকার গঠনের। কারণ জনগণের ক্ষমতায়ন ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই হয় না।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিইউজে
মন্তব্য করুন