মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জর্জ ডব্লিউ বুশ। তারা ট্রাম্পের এক পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামা এবং প্রখ্যাত গায়ক ও মানবাধিকারকর্মী বোনো একত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ইউএসএআইডি (USAID) বন্ধের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। এ সিদ্ধান্তকে বিশাল ভুল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ওবামা।
তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ এই সংস্থার মাধ্যমে হচ্ছিল। এই সিদ্ধান্ত একটি বিপর্যয়। আমি বিশ্বাস করি, শিগগির দুই দলের নেতারাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, এই সংস্থার মাধ্যমে আমাদের যে এইডস ও এইচআইভি কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছিল, তা ২৫ মিলিয়ন মানুষকে বাঁচাতে সহায়তা করেছে। এই অর্জন আমাদের জাতীয় স্বার্থেই ছিল।
ইউটু ব্যান্ডের গায়ক বোনো বলেন, এ সংস্থার লোকদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ তারাই আমাদের সেরাদের সেরা ছিলেন। এটি বন্ধ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, সংস্থাটিতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা ছিল। এজন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৯৬১ সালে কেনেডি প্রশাসনের অধীনে এটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সংস্থাটি বিদেশি দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করত। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও অর্থের অপচয়ের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করে। ডিওজিই-এর তৎকালীন প্রধান ইলন মাস্ক এটিকে আমেরিকাবিরোধী মার্কসবাদীদের আড্ডা হিসেবে অভিহিত করেন। মঙ্গলবার সংস্থাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে একত্রিত করা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা করেন, সংস্থাটির বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, ইউএসএআইডি আমেরিকার স্বার্থের পরিবর্তে এনজিও শিল্পের জন্য কাজ করেছে। এটি উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং অস্থিরতা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প তার মার্চের কংগ্রেসে ভাষণে ডিওজিই-এর কাজের প্রশংসা করে বলেন, তারা ২২ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অপচয় চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ইউএসএআইডি-এর অর্থ অপচয়ও রয়েছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, বার্মায় বৈচিত্র্য ও ইক্যুইটি বৃত্তির জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলার, ট্রান্সজেন্ডার ইঁদুর তৈরির জন্য ৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন