আলম রায়হান
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রাজরোগে আক্রান্ত রাজনীতি

রাজরোগে আক্রান্ত রাজনীতি

রাজনীতির ধারায় ব্রিটিশ রাজের নাগপাশ ছিন্ন করে ১৯৪৭ সালে সৃষ্টি হয় দুটি দেশ—ভারত ও পাকিস্তান। এই রাজনীতির ধারায় রক্তগঙ্গা অতিক্রম করে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু তারপর? রাজনীতিতে রক্তক্ষরণ এক ধরনের অমোঘ নিয়তি হয়ে গেছে। লাশ আর রক্তের স্রোতে শেখ হাসিনার পৈশাচিক শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করে ছাত্র-জনতা বিজয়ী হয়েছে ৫ আগস্ট। পরে দুটি গণপ্রশ্ন সামনে এসেছে—

এক. আমরা কী পেলাম?

দুই. আমরা কোন পথে চলেছি?

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪ বছর পেরিয়ে রাজনীতি কোনখানে দাঁড়িয়ে? আমরা কি সেই বৃত্তে আছি, ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল, কিছু দূর গিয়া মর্দ রওনা হইল।’ এখনো ঘোড়ায় চলা রাজনীতি আর বুয়েটের বানানো অটোরিকশার বদৌলতে আমাদের গন্তব্য কোথায়? এটি উদ্বেগের প্রশ্ন। কারণ প্রায় বছর পেরিয়েও আশাজাগানিয়া কোনো অগ্রগতি নেই। উল্টো সংস্কারের সং এবং মবের মচ্ছব চলছে। এর মধ্যে ইকোনমিস্ট গত ২৬ জুন প্রকাশিত ‘আ বিগ মিসটেক বাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘এগারো মাস পর বাস্তবতা বলছে, পথটা খুব কঠিন। রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত, মে মাসে বড় একটি পদযাত্রা তার প্রমাণ। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা দেশে রাজনৈতিক প্রতিশোধের সংস্কৃতি আরও গভীর করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য হ্রাস ও শুল্কনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কও ভেঙে পড়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে। প্রশ্ন উঠছে, ১৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের এই দেশ কি নতুন সুযোগটি হারিয়ে ফেলবে?’ আরও অনেক প্রশ্ন আছে। আছে আশঙ্কার বিষয়ও। ভারত সীমান্তে চলছে আদম সন্তান পুশইন। মিয়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা হয়েছে মাইন। এদিকে জলে ভাসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা। এর মধ্যে যদি আমাদের ‘মহাবন্ধু’ দেশটি পানি ‘পুশইন’ করে, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে বখেদমতে হুজুরে আলারা ভাবছেন তো? মানুষের নানান শঙ্কার সঙ্গে এটিও আছে। সব মিলিয়ে মানুষ আতঙ্কিত বললেও খুব বেশি বলা হবে না।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বছরে আন্দোলন-সংগ্রাম আর জীবনপণ যুদ্ধে অর্জিত ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়। এর পরও রাজনীতিতে ভয়াল ১৫ আগস্ট, ৩০ মে পেরিয়ে গ্রেনেড হামলা ও লগি-বৈঠার পৈশাচিকতাসহ আরও অনেক কালো অধ্যায় অতিক্রম করে অবশেষে ৩৬ জুলাইয়ের পুলসিরাত অতিক্রম করতে হয়েছে দেশবাসীকে। এর পরও কি রাজনীতিতে সেই স্লোগান প্রাধান্য পাবে, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়!’ আর কত রক্ত! অর্ধশত বছরের বেশি পেরিয়েও দেশের রাজনীতিতে রক্তের এ হলিখেলা কেন? দেশ স্থির হবে কবে? উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, লাগাতার অধোগতির রাজনীতির কারণেই দেশ সুষ্ঠু ধারায় স্থির হতে পারছে না। আমরা সেই বানরের অবস্থায় আছি। যে বানর তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেছিল বলে অঙ্কে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বানর এই বেফজুল কম্ম করার মতো বোকা নয়। কিন্তু সেই সুদূর অতীত থেকে রাজনীতির চক্করে কিছুদিন পরপর আমরা তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওপরে ওঠার কসরত করি। এদিকে প্রথমে ফাইলেরিয়া এবং পরে রাজরোগে আক্রান্ত হয়েছে আমাদের রাজনীতি। এখন প্রায় সবার গায়েই রাজনীতির জার্সি আছে। বিশেষ করে রাজনীতির জার্সি ছাড়া কোনো অপরাধী পাওয়া যাবে না!

রাজনীতি ফাইলেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে আসা যাক প্রথমে। প্রধানত হাত-পা ফুলে যাওয়া এ রোগটি গোদরোগ হিসেবেও পরিচিত। এ রোগের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায় ক্রমবর্ধমান আমাদের রাজনীতির আকার-আকৃতি, যা ক্রমাগত স্ফীত হচ্ছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মতো নিবন্ধনের বিধান করার পরও নির্বাচন কমিশনের তালিকা মতে আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৫। ভোট বিডির তথ্যমতে এই সংখ্যা ৫৬। বিষয়টি এখানেই থেমে থাকলেও হয়তো একটা সান্ত্বনা ছিল; কিন্তু তা থাকেনি। শেখ হাসিনার শাসনের অবসানের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আট মাসে অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দল ও চারটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। এর মধ্যে গত বছর ১১টি আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আরও ১১টি দল গঠিত হয়েছে। এদিকে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে ১৪৭টি দল। যেন কার্তিক মাসে বিশেষভাবে উদ্দীপ্ত প্রাণিকুলের দৃষ্টিনন্দন অবদান! শীতের শুরুতে গুটিগুটি পায়ে চলাচলকারী এদের বেশিরভাগ শিশুকালেই মরে যায়। সব মিলিয়ে দলের যে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, তা মানুষ কীভাবে নিচ্ছে? এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃত করা যাক। ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকার রাস্তায় কথা হয় ভ্যানচালক মো. হারুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১০ জনেও দল করা যায়। যার যার মতো খালি দল বানাইতাছে আর করতাছে। এগিলির কোনো ইস্টিমেট আছে? এগিলা দল আমরা ভ্যান গাড়িয়ালারাও বানাইতে পারি।’ বোঝাই যাচ্ছে, দল হিসেবে রাজনীতিতে এগুলো ফাইলেরিয়া আক্রান্ত হাত-পায়েরও অধম। তাই বলে অনর্থক কিন্তু নয়। নানান ধান্ধায় রাজনৈতিক দলের জন্ম দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মজার বিষয় সংযোজন করেছেন ডেসটিনির মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। প্রতারণাসহ নানান অপরাধে ১২ বছর কারাভোগের পর জেল থেকে বের হয়ে তিনি বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পাঁচ দিনে ঢাকা জেল খালি হয়ে গেল। মানুষকে দিন-রাত ছেড়ে দিছে। আমি তখন সুপার সাহেবের কাছে দৌড়ায় গেলাম। আমি তো এত বছর আটকে আছি, আমাকে ছাড়েন! বলল, আপনি তো কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। আপনি অন্তত হরকাতুল জিহাদও করতেন বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমও করতেন, তাও আপনাকে আমি ছেড়ে দিতাম।’ ডেসটিনি আমীনের বক্তব্যে অতিকথন থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু এ হচ্ছে রাজনৈতিক দল গঠনের অসংখ্য ধান্ধার একটি। প্রসঙ্গত, দল গঠনের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার স্বর্ণদ্বার উন্মোচন করে গেছেন জেনারেল এরশাদ। এই দ্বার কোনো সরকারই আর বন্ধ করতে চায়নি; বরং পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এখনো করছে। এ প্রক্রিয়ায় ফাইলেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মতো রাজনীতির কলেবর ক্রমাগতভাবে বেড়েছে। তবে এখানে সীমাবদ্ধ থাকলেও একটা কথা ছিল। বরং আমাদের রাজনীতি আরও ভয়ংকর পথে হেঁটে আক্রান্ত হয়েছে রাজরোগে।

যক্ষ্মাকে ‘রাজরোগ’ও বলা হয়। সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই যক্ষ্মা রোগ মানুষের মহাশত্রু। রামায়ণে এর বর্ণনা আছে। আর প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো মিশরের মমিতেও যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছে। যক্ষ্মা তথা রাজরোগের সঙ্গে আমাদের রাজনীতির একরকমের মিল স্পষ্ট। কারও শরীরে যক্ষ্মার উপসর্গ দেখা দেওয়া মানে এই নয় যে, মাত্র কয়েক দিন আগে যক্ষ্মার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করেছে। সংক্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরালো থাকলে ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধির সুযোগ পায় না। কিন্তু রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা হ্রাস গেলে যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়া মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দেখা দেয় উপসর্গ। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রব্যবস্থায় শক্তি হ্রাস পেলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হিড়িক পড়ে। উল্লেখ্য, রাজনীতির পরিচয়ে অন্তত ৫০ লাখ মানুষের চাঁদানির্ভর আয় দিয়ে সচ্ছল জীবনযাপন করেন। নানান অসামাজিক ‘বিনোদনের’ উৎসও এই চাঁদার টাকা। গোরস্তানে লাশ দাফন, গৃহস্থালি আবর্জনা সংগ্রহসহ নানান খাতে ‘নির্দোষ’ চাঁদাবাজি চলে। নদীর ঢেউ থেকে পুলিশের ঘুষ খাওয়ার মিথ আছে। এ থেকে রাজনীতির পরিচয়ে চাঁদাবাজি চলে কি না, তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে এটি আমজনতাও জানে, খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা থেকে শুরু করে বড় কারবারিরও কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় আছে। ফলে যে অঞ্চলে এখনো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছানো যায়নি, সেখানে ইয়াবা দাপটের সঙ্গে পৌঁছে গেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ফাইলেরিয়া ও রাজরোগ আক্রান্ত রাজনীতির কুশীলবদের বংশির সুরে আমরা কোথায় যাচ্ছি? লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ সম্প্রতি লিখেছেন, ‘আমরা কি মরীচিকার পেছনে ছুটছি?’ কমবেশি অনেকেরই জানা মরীচিকার বিষয়টি। তবে মরুভূমির মরীচিকা এবং রাজনীতির মরীচিকার মধ্যে পার্থক্য মৌলিক। মরুভূমির মরীচিকা তৈরি হয় প্রকৃতির রহস্যময়তায়। কিন্তু রাজনীতির মরীচিকা তৈরি হয় এক দল মানুষের কারসাজিতে। যারা রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এরা ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ থেকে শুরু করে নানান ধরনের আজগুবি আওয়াজ তুলে মানুষকে অলীক স্বপ্নে বিভোর করে এবং আমরা আমজনতা বিশ্বাস করছি। ফানুসকে চেতনায় ধারণ করে ছুটছি। কখনো গলদঘর্ম হই, কখনো রক্তাক্ত, কখনো আবার লাশের মিছিল। কিন্তু বারবার প্রমাণিত হচ্ছে, আমরা আসলে মরীচিকার পেছনে ছুটছি। ধর্ম ব্যবসায়ীদের মতো রাজনীতির ব্যবসায়ীরাও প্রত্যাশার মুলা ঝুলিয়ে আমাদের তাড়িয়ে বেড়ান। আমরা তখন গাধারও অধম। কারণ, মুলার লোভে ছুটন্ত গাধাও হয়তো গন্তব্য শেষে মুলা পায়। কিন্তু সুখের নহরে ভাসার প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে ছুটে আমরা কী পাই? ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল’—মধ্যযুগীয় বাংলা কবি জ্ঞানদাসের এই অনুভবই আমাদের স্থায়ী নিয়তি!

এদিকে গভীর হতাশার বিষয় হচ্ছে, জুলাই আন্দোলন থেকে মৌলিক অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগও সম্ভবত হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব সম্ভবত আবার যেই লাউ সেই কদু অবস্থায় ফেরত যাচ্ছি। এদিকে সবাইকে হেদায়েত করার দাম্ভিক প্রবণতা বেশ স্পষ্ট। কিন্তু কে কাকে বোঝাবে, সবাইকে হেদায়েত করার মানসে হনুমানের গদা নিজ কাঁধে নেওয়াটা মহাভুল। কারণ মানুষের পক্ষে হনুমান হওয়া অসম্ভব। এটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় সবাইকে নিয়ে চলার অনুশীলন সফল হলে দেশ হয়তো অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত। কিন্তু সেই সময় এখনো আছে কি না, সেটিও এখন বড় এক প্রশ্ন। তাহলে আমরা কী জীবনানন্দ দাশের কবিতার বাস্তবতায় আছি, ‘থাকে শুধু অন্ধকার...।’ তার পরও কথা আছে! কবির কল্পনায় তবুও ‘মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন’ থাকে। কিন্তু আমাদের কে আছে, কী আছে? নিশ্চয়ই এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না! যেমন মেলেনি সুদূর ও অদূর অতীতেও। মেলার কথাও নয়!

রাষ্ট্রের প্রধান ভিত্তি রাজনীতিই ফাইলেরিয়া ও রাজরোগে আক্রান্ত হলে তখন আর কোথাও ভরসা থাকে না। থাকার কথা নয়। ফলে এটি কপালের লিখন হিসেবে বিবেচনা করাই বেহেতের। এতে কোনো প্রাপ্তিযোগ নেই। তবে কষ্ট হয়তো কমবে। ক্যান্সার রোগীর শেষ সময়ে চিকিৎসা যে বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়! অথচ অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ ছিল; কিন্তু তা হয়নি। আর হয়তো হবেও না। কারও কারও মতে, ‘নেলসন ম্যান্ডেলা মুহূর্ত’ বাংলাদেশ অতিক্রম করে এসেছে। আর এর মূলে রয়েছে রাজরোগ আক্রান্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি। এখন দেখার বিষয়, কৌশলী অতিকথন ও গভীর অনিশ্চয়তার ঘন কুয়াশায় ৯ জুলাই রাতে জ্ঞাত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাচন-সংক্রান্ত নির্দেশনা কতটা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়। তবে এটুকু ধারণা করা যায়, আগামী রোজার আগে কোনো কারণে অথবা অজুহাতে নির্বাচন না হলে ফাইলেরিয়া ও রাজরোগ আক্রান্ত রাজনীতির প্রভাবে দেশের কপালে অনেক নান্নত আছে!

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পারিশ্রমিক বাড়ালেন জাহ্নবী

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সরকার স্ট্যাবল হবে না : মুশফিকুর রহমান

মিশরের কাছে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র 

আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার, বিএনপি অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ

কেন ভেঙে যায় আহান-সুহানার প্রেম?

চাপাতির কোপে বড় ভাই নিহত, ছোট ভাই হাসপাতালে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

থানায় ঢুকে এএসআইকে ছুরিকাঘাত, পুকুরে লাফিয়ে উধাও দুর্বৃত্ত

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

সমুদ্র উত্তাল, শূন্য হাতে ফিরেছে শত শত ট্রলার

১০

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১১

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১২

২৫ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনকে প্রথম স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স

১৪

২৫ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ১১ জেলে অপহৃত

১৬

ভারতে পালানোর সময় সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৭

মধ্যরাতে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

১৮

বিপিসির দুই মহাব্যবস্থাপকের পদোন্নতি

১৯

ত্রিভুজ প্রেমের বলি প্রবাসী ফিরোজ

২০
X